টহল: ইসলামপুরে। নিজস্ব চিত্র
মনোনয়ন জমার জন্য বাড়তি একদিন পেয়েও চোপড়া, ইসলামপুরে অভিযোগ রয়েই গিয়েছে বিরোধীদের। সোমবার পর্যাপ্ত পুলিশ প্রহরাও থাকলেও চোপড়ায় ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। আবার ইসলামপুরের এক কংগ্রেসের কর্মীর মনোনয়ন দাখিলের সময় তা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। যদিও শাসক দলের নেতা কর্মীরা তা মানতে নারাজ। এ দিন এসডিপিও সোমনাথ ঝায়ের নেতৃত্বে পুলিশের টহলদারি দেখা যায় চোপড়ায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেই জানান তিনি।
অতিরিক্ত দিনে আদৌ মনোনয়ন দাখিল করতে পারবেন কিনা তা নিয়েই সংশয়ে ছিলেন বিরোধীরা। ইসলামপুরের মহকুমাশাসক দফতরে মনোনয়নের জন্য এক নির্দল প্রার্থীর লোক গেলে তাঁকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অপর দিকে, এ দিন ইসলামপুরের বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা করতে গিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী মহম্মদ কলিমুদ্দিন। তাঁকেও সেখান থেকে বের করে মারধর করে মনোনয়ন ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও বিষয়টি মানতে চাননি এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের ইসলামপুর ব্লক সভাপতি বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীরা মনোনয়নের এত দিনে কাউকে একটা কথাও বলল না, এক দিনে আর কী-ই বা বলবে। তৃণমূল প্রার্থীরা বিরোধীদের নিয়ে ভাবেন না।’’
এ দিন অতিরিক্ত পুলিশ পিকেট থাকলেও চোপড়াতেও বিরোধীদের অভিযোগ, গ্রাম থেকে বার হতে দিচ্ছেন না শাসক দলের লোকেরা। কংগ্রেসের চোপড়া ব্লক সভাপতি অশোক রায় বলেন, ‘‘কর্মীরা আজও আতঙ্কিত। কয়েক জন মনোনয়ন করতে পেরেছেন মাত্র। পুলিশকে বারবারই বলছি। সামনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য রয়েছে তিন দিন। প্রার্থীদের কতটা ধরে রাখতে পারব জানি না।’’ বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, ‘‘প্রার্থীরা অনেকে ভয়ে এলাকা ছেড়েছেন। প্রত্যাহারের পরে প্রচার শুরু করবেন। এ দিন কিছু মনোনয়ন হয়েছে। ৩ নম্বর জেলা পরিষদের আসনে যেখানে জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হয়েছিল, সেখানে মনোনয়ন করেছি। তৃণমূলের চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি জাকির আবেদিন বলেন, ‘‘আমাদের লোকেরা আগেই মনোনয়ন করেছেন। কাজেই এ দিন কেউ ওই
চত্বরেই যায়নি।’’