বন‌্ধের দ্বিতীয় দিনে ভাঙল কাচ, কাটল কান

কোথাও আচমকা ঢিল ছুড়ে বাসের কাচ ভাঙচুর, কোথাও আবার স্কুলের বাসের দিকে লাঠি নিয়ে তাড়া। বন্‌ধ সমর্থকরা বুধবার এমনই তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে কোচবিহারে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:০৪
Share:

সরকারি বাস। নিজস্ব চিত্র

কোথাও আচমকা ঢিল ছুড়ে বাসের কাচ ভাঙচুর, কোথাও আবার স্কুলের বাসের দিকে লাঠি নিয়ে তাড়া। বন্‌ধ সমর্থকরা বুধবার এমনই তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে কোচবিহারে। জোর করে বন্‌ধ করানোর অভিযোগে এ দিন পুলিশ গোটা জেলায় ৩৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। গত দু’দিন মিলিয়ে ওই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫। জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, “এ দিন সরকারি দফতরে হাজিরা ৯৭ শতাংশের উপরে ছিল।” কোচবিহারের পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত বলেন, “যেখানে যেখানে গন্ডগোলের চেষ্টা হয়েছে, ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

এ দিন সকালে কোচবিহারে মড়াপোড়া চৌপথীতে একটি সরকারি বাসে ঢিল ছুড়ে বন্‌ধ সমর্থকেরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় গাড়ির কাচ ভেঙে চালক বিশ্বনাথ সেনের হাত কেটে যায়। ওই কাচ এক যাত্রী গৌতম জোয়ারদারের কানের কাছে লেগে কেটে যায়। তিনি বলেন, “চালক হেলমেট পরে ছিলেন। এখন তো দেখছি যাত্রীদেরও হেলমেট পরে বেরোতে হবে।” কাছারি মোড়ে একটি স্কুলবাস আটকে ভাঙচুরের চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ। সে সময় ওই গাড়িতে একজন শিশুও ছিল। শহরেই একটি অটো ও একটি টোটো বন্‌ধ সমর্থকেরা ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় অবশ্য দাবি করেন, তাঁদের কর্মী-সমর্থকরা কোথাও কোনও গন্ডগোলে ছিলেন না। তিনি বলেন, “বাস কারা ভেঙেছে তা আমরা জানি না। মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বন্‌ধে সামিল হয়েছে। তৃণমূল সরকার হাজার চেষ্টা করেও বন্‌ধ ব্যর্থ করতে পারেনি।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বন্‌ধ পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। দু-এক জায়গায় পরিকল্পিত গন্ডগোলের চেষ্টা হয়েছে। পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে।”

মেখলিগঞ্জে বেসরকারি যানবাহন পথে না নামায় কিছুটা হলেও ভোগান্তির শিকার হয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। মঙ্গলবার ধর্মঘটের কারণে মেখলিগঞ্জের দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বুধবার সকাল থেকেই তা খুলতে শুরু করে। স্কুল-কলেজ-অফিস-আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে। এ দিন বন্‌ধের সমর্থনে মিছিলও বের হয়নি। দিনহাটায় ধর্মঘট সমর্থনকারীদের মিছিল আটকে দিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এ দিন অবশ্য হাট-বাজার দোকানপাট সবই ছিল খোলা। রাস্তায় বেসরকারি গাড়ি কিছুটা কম ছিল। স্কুল কলেজ সবই ছিল খোলা। তুফানগঞ্জে বন্‌ধের কোনও প্রভাব পড়েনি। দোকানপাট খোলা ছিল মাথাভাঙায়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন