অভিষেকের আপত্তিতে ভেস্তে গেল বাইক মিছিল।
রবিবার বিকেলে কলকাতা থেকে বাগডোগরা পৌঁছোন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি। এখান থেকে গন্তব্য ছিল উত্তরকন্যার অতিথি নিবাস ‘কন্যাশ্রী’। বিমানবন্দর থেকে অভিষেকের কনভয়ের সামনে-পিছনে বাইক মিছিল করে উত্তরকন্যা পর্যন্ত যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল বাগডোগরায় জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস। পুলিশের কাছ থেকে অনুমতিও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মিছিলের অনুমতি দেননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল সূত্রের খবর, বিমানবন্দরের বাইরে এসেই অভিষেক জানিয়ে দেন, বাইক মিছিল করার দরকার নেই। তাঁর কনভয় দ্রুত বারও হয়ে যায়। মোটরবাইক নিয়ে দলীয় কর্মীরা চেষ্টা করলেও কনভয়ের ধারেকাছে পৌঁছাতে পারেননি। বিমানবন্দর বা উত্তরকন্যার অতিথি নিবাস কোথাও কোনও কথা বলেননি অভিষেক। সংবাদমাধ্যমকেও কিছু বলার নেই বলে জানিয়ে দেন।
জেলার নেতাদের একাংশ জানিয়েছেন, পুরভোটের জন্য গোটা দার্জিলিং জেলায় নির্বাচনী বিধি জারি রয়েছে। জলপাই মোড় লাগোয়া শক্তিগড় পর্যন্ত বিধি কার্যকর রয়েছে। বিষয়টি অভিষেকের কানে পৌঁছায়। পাশাপাশি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ‘সেফ ড্রাইভ সেফ লাইফ’ নিয়ে জোরদার প্রচার শুরু হয়েছে। সেখানে মিছিলে অনেকেই হেলমেট ছাড়া ছিলেন। বিভিন্ন মহল থেকে তা জানার পর তৃণমূলের যুব সভাপতি আর বাইক মিছিল করে শহরে ঢুকতে রাজি হননি।
দার্জিলিং জেলা যুব সভাপতি বিকাশ সরকার বলেন, ‘‘উনি মিছিলের কথা জানতেন। কিন্তু ওঁর একটা নিরাপত্তার বিষয় রয়েছে। তাই উনি চলে যান।’’এ দিন বিকালে উত্তরকন্যার অতিথি নিবাসে পৌঁছানোর পর দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ি জেলার যুব নেতাদের সঙ্গে এক প্রস্থ বৈঠক করেন অভিষেক। পরে, শহরের বিক্ষুব্ধ যুব গোষ্ঠীর নেতারাও দেখা করেন। নমঃশুদ্রদের সংগঠনের তরফে আলাদা পর্ষদের দাবিতে তাঁকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।