মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাহাড় সফরের আগে ফের তাঁর বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ।
তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে কোনও ভাল কাজ করতে পারেননি। উল্টে যতবার পাহাড়ে আসেন, ততবারই সমস্যা তৈরি করেন। বুধবার দার্জিলিঙে মোর্চার পার্টি অফিসে বসে গুরুঙ্গ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই রাজ্য সরকার জিটিএ-কে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী বিভাজনের রাজনীতি করছেন। এমন চললে ফের পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন শুরু করবেন, জানিয়েছেন গুরুঙ্গ ।
গত ২৫ অগস্ট মমতার সঙ্গে দার্জিলিঙের ম্যালে সভা করেন গুরুঙ্গ। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে প্রতিশ্রুতি দেন, পাহাড়ের হাসি মুছতে দেবেন না। তার ক’দিনের মাথায় কেন ফের সুর চড়ালেন গুরঙ্গ? মোর্চার অন্দরের খবর, দার্জিলিঙে একটি স্কুল তৈরি নিয়ে জেলা প্রশাসন আপত্তি জানিয়েছে। পাহাড়ের কয়েকটি বহুতল ভাঙা নিয়েও রাজ্য সরকারের সঙ্গে জিটিএ-র মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। তারপরেই গুরুঙ্গের এই ক্ষোভ, বলছেন মোর্চা নেতারা। এ দিন গুরুঙ্গ ওই দুটি প্রসঙ্গ উল্লেখ করে অভিযোগ করেন, জিটিএ-র কাজে ক্রমাগত হস্তক্ষেপ করছে রাজ্য।
মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে গুরুঙ্গ বলেন, ‘‘আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে আসেন সমস্যা তৈরি করতে, আমাদের দুঃখ দিতে। উনি পাহাড়ে বিভাজনের রাজনীতি করতে চেয়েছিলেন, সেটা না পেরে এখন জিটিএ-কে কাজ করতে দিচ্ছেন না।’’ মমতাকে বিঁধে গুরুঙ্গের অভিযোগ, ‘‘উনি নিজে পাহাড়ে কোনও ভাল কাজ করতে পারেননি, আমরা করছি দেখে এখন হিংসে করছেন।’’ গুরুঙ্গের দাবি, গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে ফিরে যাওয়া ছাড়া বিকল্প নেই তাঁদের।
গুরুঙ্গের মন্তব্যকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তাঁর কথায়, ‘‘একজন প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে বিমল গুরুঙ্গের মন্তব্য অনভিপ্রেত। এই মন্তব্যের নিন্দা করছি।’’