ফাইল ছবি।
জিটিএ-র কেয়ারটেকার চেয়ারম্যান পদে মনোনীত হওয়ার পরে প্রকাশ্যে গোর্খাল্যান্ডের প্রসঙ্গ তুললেন বিনয় তামাং। শুক্রবার দার্জিলিঙের ভানু ভবনে দলের ‘শহিদ দিবস’-এর অনুষ্ঠানে বিনয় গোর্খাল্যান্ডের প্রসঙ্গ টেনে আনে। তিনি বলেন, ‘‘গোর্খাল্যান্ডের স্বপ্ন নিয়েই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন পাহাড় ও সমতলের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। যাঁদের প্রাণ গিয়েছে, তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতেই স্মরণসভা। গোর্খাল্যান্ডের স্বপ্ন কখনও ব্যর্থ হতে পারে না।’’ এর পরেই মোর্চার বর্তমান সভাপতি জানান, তাঁরা দিল্লির কাছে পাহাড়ের দীর্ঘকালের দাবি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনার আর্জি জানাবেন। অনেকটা বিমল গুরুঙের মতোই ভাষা তাঁর মুখে শুনে জল্পনা শুরু হয়েছে পাহাড়ে। তবে পাহাড় তৃণমূলের নেতারা এ দিন জানান, মোর্চা একটি স্বতন্ত্র দল, তাদের মতামত নিয়ে কোনও মন্তব্য এখনই তারা করতে চান না।
ঘটনাচক্রে, এ দিন ‘শহিদ দিবস’ পালন করেন জিএনএলএফ প্রধান মন ঘিসিংও। তিনি সোনাদায় যেখানে গত জুলাই মাসে জিএনএলএফ সমর্থকের মৃত্যু হয়েছিল সেখানে সভা করতে চেয়েছিলেন। পুলিশ অনুমতি দেয়নি বলে তাঁর দাবি।
দার্জিলিঙে স্মরণসভায় মন বলেন, ‘‘আমরা আর কিছু চাই না। হয় আমাদের গোর্খ্যাল্যান্ড দেওয়া হোক। না হলে ষষ্ঠ তফসিল মর্যাদা দেওয়া হোক আমাদের। এর বাইরে কোনও ব্যবস্থা আমরা চাই না।’’
মোর্চার অন্দরের খবর, পাহাড়ে আলাদা রাজ্যের বিষয়টি সামনে রেখে যাতে অন্য কোনও দল অথবা বিমল গুরুঙের অনুগামীরা পালে বাতাস কাড়তে না পারে, সে জন্যই দীর্ঘদিন বাদে বিনয় আলাদা রাজ্যের বিষয়টি সামনে রেখেছেন। পাহাড়ের রাজনীতির বাধ্যবাধকতা থেকেই মোর্চার বর্তমান প্রধানকে বিষয়টি সামনে আনতে হয়েছে বলে সেখানকার প্রবীণ রাজনীতিকদের অনেকেরই মত।
তৃণমূলের পাহাড়ের কয়েকজন নেতা জানান, মোর্চার রাজনৈতিক দাবি-দাওয়া ভিন্ন হতেই পারে। কিন্তু, পাহাড়ের উন্নয়নের ব্যাপারে রাজ্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলার ব্যাপারে বিনয় তামাংরা যে দায়বদ্ধ, সেটা কিন্তু এদিনও বলেছেন ওঁরা। ঘটনা হল, এদিন স্মরণসভায় বিনয় বলেছেন, ‘‘রাজ্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাহাড়ের উন্নয়ন চলছে ও চলবে। রাজ্য সরকার গত জুলাইয়ে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণও দিয়েছে। এবার পরিবার পিছু একজনকে চাকরি দেওয়ার অনুরোধ করব। রাজ্য নিশ্চয়ই বিবেচনা করবে।’’