কুকুরের দাপট থামাতে দাওয়াই জন্ম নিয়ন্ত্রণ

বাইক দেখলেই তেড়ে আসে। কখনও কখনও বাইক আরোহীর পায়ে কামড়ে দেওয়ারও চেষ্টা করে। এ ছাড়া় রাতবিরেতেও হঠাৎ রাস্তায় তাড়া করেছে। শিলিগুড়ির বাসিন্দারা এমন নানা অভিযোগই করেছেন পথ কুকুরদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:০২
Share:

শিলিগুড়িতে পথ-কুকুরদের নির্বীজকরণ শুরু হয়েছে। — নিজস্ব চিত্র

বাইক দেখলেই তেড়ে আসে। কখনও কখনও বাইক আরোহীর পায়ে কামড়ে দেওয়ারও চেষ্টা করে। এ ছাড়া় রাতবিরেতেও হঠাৎ রাস্তায় তাড়া করেছে। শিলিগুড়ির বাসিন্দারা এমন নানা অভিযোগই করেছেন পথ কুকুরদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

তবে তাদের এমন আচরণের মূলে রয়েছে খাদ্য সঙ্কট। শহরের একটি পশুপ্রেমী সংগঠনের সমীক্ষায় এমনই দাবি করা হয়েছে। তাদের দাবি, সংখ্যায় বেড়ে যাওয়ার অনুপাতে খাদ্যের জোগান বাড়েনি কুকুরদের। তার জেরেই তৈরি হয়েছে খাদ্য সঙ্কট। খাবারের অভাবেই মেজাজ হারাচ্ছে পথ কুকুরেরা। তাই পথ কুকুরদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই এই সমস্যা মেটানো যাবে বলে দাবি ওই সংস্থার।

সমীক্ষা অনুযায়ী, শিলিগুড়ির ৪৭টি ওয়ার্ডে এখন পথ কুকুরের সংখ্যা ১৮ হাজার। মাঝে মাঝেই তারা কা‌মড়ে দিচ্ছে পথচলতি মানুষদের। চলতি মাসের শুরুতে প্রতিদিন গড়ে ১০০ জন কুকুরের কামড়ের প্রতিষেধক নিয়েছেন বলে শিলিগুড়ি হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে। কুকুরগুলির নিজেদের মধ্যে মারামারির জেরেও রোগ সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে জানাচ্ছেন পশু চিকিৎসক দেবপ্রকাশ পাণ্ডে। ওই সংগঠনের দাবি, বদমেজাজি কুকুরদের নিয়ে গিয়ে পুনর্বাসন কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দিয়ে শান্তও করা হয়েছে।

Advertisement

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ওই সংগঠনটি পথ কুকুরদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের শিবির করছে। শনিবারও তেমনই একটি শিবিরে ৪০টি কুকুরের নির্বীজকরণ করা হয়। বছরে ৭০০ কুকুরের জন্ম নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্য রয়েছে সংগঠনটির। সেখানকার কর্তাদের আক্ষেপ, সরকারি সাহায্যের অভাবে এই কাজে ভাটা পড়েছে। এক সময়ে পুরসভার পক্ষ থেকে এই কাজে কুকুর পিছু ২০০ টাকা করে দেওয়া হলেও দীর্ঘদিন ধরে তা বন্ধ রয়েছে। শিলিগুড়ির পুরসভার ডেপুটি মেয়র রামভজন মাহাতো কুকুরদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য বকেয়া বরাদ্দের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিদিনই কুকুরের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ পাই। এবার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন