(বাঁ দিক থেকে) মৃত বাইসন। বাইসনের আতঙ্কে থমকে গিয়েছে রাস্তার যানবাহন। দাঁড়িয়ে পড়েছে ট্রেনও। ছবি: রাজকুমার মোদক।
ডুয়ার্সের বানারহাটের লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের নালায় পড়ে মারা গেল ১টি বাইসন। বাইসনের হামলায় গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন এক শ্রমিকও। তাঁকে প্রথমে বানারহাট হাসপাতাল, সেখান থেকে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থা আর খারাপ হলে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বন দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, জখম শ্রমিকের নাম সিকু আনসারি। চা বাগান থেকে বেরিয়ে একটি বাইসন বানারহাট-মালবাজার ৩১ সি জাতীয় সড়কে চলে এলে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পাশেই রেললাইন। বাইসনের জন্য কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে থাকে একটি ট্রেনও। শ্রমিক ও যানজটের অবস্থা সামাল দিতে চলে আসে বানারহাট থানার পুলিশ। ডাকতে হয় এসএসবি জওয়ানদেরও।
এ দিন সকাল সাতটা নাগাদ বানারহাটের নিউ ডুয়ার্স চা বাগানে পাঁচটি বাইসন চলে আসে। সেখান থেকে চারটি বাইসন চলে আসে লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানে। বাগানে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে একটি বাইসন নালায় পড়ে মারা যায়। দু’টি চলে যায় ডায়নার জঙ্গলের দিকে। একটি বাইসন জখম অবস্থায় দাঁড়িয়ে পড়ে রেল লাইন লাগোয়া জাতীয় সড়কের উপর ঝোপ-জঙ্গলের ভিতরে। যেকোনও সময়ে বাইসন চলে আসতে পারে সড়কে, এই আশঙ্কায় বনকর্মী ও পুলিশ দু’দিকের যান চলাচল বন্ধ দেয়। এক ঘণ্টা পরেও বাইসনটি ঝোপ থেকে না বের না হওয়ায় ফের সন্তর্পণে শুরু হয় যান চলাচল। সন্ধে নাগাদ বন দফতর সেটিকে জঙ্গলে পাঠিয়ে দেয়।
জলপাইগুড়ির এডিএফও বাদল দেবনাথ বলেন , “দু’টি বাইসন জঙ্গলে ফেরত গেলেও একটি জখম অবস্থায় জাতীয় সড়কের উপর ঝোপে বসে ছিল। সেটিকে সন্ধে নাগাদ জঙ্গলে ফেরত পাঠানো হয়। অনেক চা বাগানে ব্লেডের তার দিয়ে ঘেরা দেওয়া আছে। তাতে বন্যপ্রাণীরা চলাচলে বাধা পাচ্ছে। এ ব্যাপারে বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে।’’