—নিজস্ব চিত্র
ফাঁকা রাস্তা, বন্ধ দোকানপাট, হাট-বাজার, বন্ধ পরিবহণ ব্যবস্থা— লকডাউনের এই চিত্র গোটা ভারত দেখেছে বিগত কয়েক মাস আগে। তার পর ধাপে ধাপে সচল হয়েছে মানুষের জীবন। লকডাউন পর্ব কাটিয়ে দেশে এখন আনলক পর্ব চলছে। করোনা আবহের মধ্যেই বাংলা-সহ সারা দেশে এ বার ধর্মঘট। ডাক দিয়েছে বাম-কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন।
বৃহস্পতিবারের এই ধর্মঘট সফল করতে পথে নামবে বাম-কংগ্রেস। কোচবিহারের বামফ্রন্টের আহবায়ক অনন্ত রায় জানান, সকাল থেকেই ধর্মঘটের সমর্থনে সারা জেলায় মিছিল বার হবে। সাধারণ মানুষের কাছে তাঁদের অনুরোধ, দোকানপাট, হাট-বাজার বন্ধ রেখে ধর্মঘটকে সমর্থন করার। পাশাপাশি পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ রাখারও অনুরোধ জানানো হবে।
তবে তৃণমূল এই ধর্মঘট সমর্থন করছে না বলে জানিয়েছে। জেলা তৃণমূলের সম্পাদক আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, ‘‘আমরা ধর্মঘটকে সমর্থন করছি না। কিন্তু যে কারণগুলো বা দাবিগুলোর উপর ভিত্তি করে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে আমরা সেই দাবিগুলোকে সমর্থন জানাচ্ছি। ধর্মঘট হলে জনজীবন ব্যহত হয়। আমরা তাই ধর্মঘটের বিপক্ষে।’’
ধর্মঘটের বিরোধিতা করে জেলা বিজেপি-র সভানেত্রী মালতি রাও হারায় বলেন, ‘‘এই ধর্মঘট রাষ্ট্রবিরোধী। এর পিছনের মদতদাতা তৃণমূল। কারণ তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে এই ধরনের ধর্মঘট কথায় কথায় ডাকত। করোনার আবহে দেশ যখন অর্থনৈতিক ভাবে কিছুটা হলেও দুর্বল, সেই সময় এই ধরনের ধর্মঘট দেশের পক্ষে ক্ষতিকর। আমরা সাধারণ মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করব, যাতে জনজীবন সচল রাখা হয়। তবে ধর্মঘটের বিরোধিতায় আমরা পথে নামার কথা ভাবছি না।’’