আগামী লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে সংগঠন মজবুত করতেই দার্জিলিং জেলা সভাপতি পরিবর্তন করা হয়েছে। শিলিগুড়িতে এসে এ কথাই জানালেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি এ কথা জানান।
তবে নির্বাচনের লক্ষ্যে সংগঠন চালাতে আগের সভাপতি অরুণ সরকার ব্যর্থ কি না তা জানতে চাইলে বিশ্বপ্রিয়বাবু সরাসরি অবশ্য তা বলতে চাননি। তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল বলে তিনি জানান। তবে নতুন সভাপতি প্রবীণ অগ্রবাল তাঁর চেয়েও ভাল কাজ করতে পারবেন বলে দাবি তাঁর। তিনি বলেন, ‘‘আমরা মূলত অল্প বয়সীদের নিয়ে সংগঠন মজবুত করতে চাইছি। তাই সভাপতি বদল করে দেওয়া হয়েছে। তবে পুরনো সভাপতিকেও অন্য পদে আনা হতেই পারে।’’
এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন দার্জিলিং জেলার নবনিযুক্ত সভাপতি প্রবীণ অগ্রবাল ও জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ রায়চৌধুরী। সাংবাদিক বৈঠকে সরাসরি স্বীকার না করলেও, দলীয় সূত্রের খবর, অরুণবাবুকে নিয়ে সন্তুষ্ট নন দল। দলের মধ্যে তাঁর প্রভাবও কম। যে কারণে রথীন বসুকে সরিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের মাসখানেক আগে তাঁকে দলের সভাপতি করা হয়েছিল তাঁর পূর্ব অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে। সে সময় দলের মধ্যে ডামোডোলের সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে সভাপতি করার পরে লোকসভায় যে পরিমাণ ভোট পেয়েছিল বিজেপি, সেটা বিধানসভায় আরও কমে গিয়েছে। ফলে ক্ষুব্ধ কেন্দ্র ও রাজ্য নেতৃত্ব আরও পাঁচ জেলার সঙ্গে দার্জিলিং জেলা নেতৃত্বের বদলের সিদ্ধান্ত নেন। যদিও এ বিষয়ে সভাপতি পদ থেকে অপসারিত অরুণবাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে নতুন সভাপতি বলেন, ‘‘দলে আমি এর আগে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কার্যভার সামলেছি। দল যোগ্য মনে করে দায়িত্ব দিয়েছে। আমি দলের সংগঠন মজবুত করতে কাজ করব।’’ দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পেশায় আইনজীবী প্রবীনবাবু বহুদিন ধরে আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত তিনি। সরাসরি বিজেপিতে যোগ দেন দু’বছর আগে। তার পরেই তাঁকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
আগামী ১৭ ও ১৮ জুন বিজেপির রাজ্য সম্মেলন শিলিগুড়িতে হবে বলেও এদিন বৈঠকে জানান তিনি। সেখানে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনেকেই থাকতে পারেন। এমনকী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও উপস্থিত থাকতে পারেন বলে দাবি করা হয়েছে। থাকার কথা রবিশঙ্কর প্রসাদ, সিদ্ধার্থনাথ সিংহেরও।