BJP

বিজেপির যুবনেতা যোগ দিলেন তৃণমূলে

বিজেপির কোচবিহার জেলার সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “দলের সমস্ত দায়িত্ব থেকে আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।’’

Advertisement

নমিতেশ ঘোষ

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২০ ০৭:২৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

কিছুদিন আগেও দিলীপ ঘোষের পাশে পাশে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। দলে ‘হিন্দুত্ববাদী’ মুখ হিসেবেও তাঁর পরিচয় রয়েছে। টানা তিন বছর বিজেপির যুব মোর্চার কোচবিহার জেলা সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। সেই শৈলেন্দ্রপ্রসাদ সাউ সোমবার তৃণমূলে যোগ দিলেন, যারা এই মুহূর্তে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার। এ দিনও সেই ছবি ছিল স্পষ্ট।

Advertisement

বিজেপি নেতারা যেখানে দাবি করছেন, উত্তরবঙ্গ থেকে অন্ততপক্ষে ৫০টি বিধানসভার আসন তাঁদের ঝুলিতে যাবে এবং সেই মতো নির্দেশও দিচ্ছেন, সেই সময় এমন একজন নেতার দল পরিবর্তন নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে চারদিকে। বিজেপির কোচবিহার জেলার সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “দলের সমস্ত দায়িত্ব থেকে আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। তিনি এখন কোথায় যাবেন না যাবেন, পুরোটাই তাঁর ব্যাপার। তাতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।”

তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “শৈলেন্দ্রপ্রসাদ সাউ বিজেপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও সংগঠক ছিলেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন যজ্ঞে শামিল হতেই তৃণমূলে যোগ দিলেন। তাতে বিজেপির অর্ধেক শক্তি কমে গিয়েছে জেলায়।” এ দিন জেলা পার্টি অফিসেই পার্থপ্রতিম শৈলেন্দ্রের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শাসক দলের মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ, বিধায়ক মিহির গোস্বামী, আব্দুল জলিল আহমেদ। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে ওই দলবদল কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। তিনি অবশ্য ওই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।

Advertisement

শৈলেন্দ্র নিজে এ দিন অবশ্য বলেন, “জেলা বিজেপির বেশিরভাগ নেতা তোলাবাজি করছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে যিনি সাইকেল নিয়ে ঘুরতেন, তিনি স্করপিও নিয়ে ঘুরছেন। পুরনো নেতা-কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমরা সমাজের কাজ করতেই রাজনীতি করি। তাই তৃণমূলে এসেছি।” কিন্তু যে শৈলেন্দ্রকে রামনবমী থেকে শুরু করে সঙ্ঘের একাধিক অনুষ্ঠানে সামনের সারিতে দেখা যেত তিনি তৃণমূলে কীভাবে কাজ করবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পার্থপ্রতিম বলেন, “ধর্ম আর রাজনীতি এক নয়। ধর্মের জায়গায় ধর্ম থাকবে।” একই কথা বলেছেন শৈলেন্দ্রও।

শৈলেন্দ্রের বাড়ি কোচবিহার শহরেই। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যুব মোর্চার কোচবিহার জেলা সভাপতি ছিলেন। পরে দলের জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দল জানিয়েছে, নতুন কমিটির গঠনের সময়ে তাঁকে জেলা কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের বর্তমান জেলা সভনেত্রী মালতী রাভার সঙ্গে শৈলেন্দ্রর সম্পর্ক ভাল নয়। ওই বিরোধের জেরেই দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি।

বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “প্রবীণ নেতৃত্বকে অসম্মান করা, দলের মধ্যে উপদল তৈরির চেষ্টা করেছিলেন শৈলেন্দ্র প্রসাদ। সেজন্য তাঁকে সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন