পতাকা-ব্যানার ছাড়া কী ভাবে রামনবমী উৎসব পালন করা হবে, তা বোঝোতে উত্তরবঙ্গে আসছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতারা। উত্তরপ্রদেশ ভোটের ফল প্রকাশের পরে এ রাজ্যেও ঘটা করে রামনবমী উৎসব পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। যদিও রামনবমীর জনসংযোগে দলের পোস্টার-ব্যানার ব্যবহার করা যাবে না বলেও নির্দেশ জারি করেছে তারা। তবে কী ভাবে জনসংযোগ হবে, তার কৌশলও আগামী ২ এপ্রিলের বৈঠকে জানাবেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা।
রাজ্যে বিজেপির ৩ জন বিধায়ক রয়েছে। তার মধ্যে ২ বিধায়কই উত্তরবঙ্গের। বিধানসভা ভোটের পর থেকেই উত্তরবঙ্গে দলের রাজ্য-কেন্দ্রীয় নেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। তবে একসঙ্গে উত্তরবঙ্গের সব নেতাকে ডেকে বৈঠকের নজির সাম্প্রতিক কালে নেই। সংগঠন গোছানোর জন্য সম্প্রতি গোটা রাজ্যকে পাঁচটি ‘জোনে’ ভাগ করেছে বিজেপি। উত্তরের আট জেলাকে নিয়ে তৈরি জোনের নেতাদের আগামী ২ এপ্রিল শিলিগুড়িতে বৈঠকে ডেকেছেন বিজেপি নেতারা। প্রতিটি জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং কোষাধ্যক্ষকেও ডাকা হয়েছে। আপাতত ঠিক আছে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাজ্যের সাধারণ সম্পাদকরা বৈঠকে থাকবেন। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীও বৈঠকে থাকতে পারেন। বৈঠকের কোনও আলোচ্যসূচি পাঠানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, বেশ কিছু বিষয়ে নির্দেশ দিতে পারেন দলের নেতারা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রামনবমী উদ্যাপন।
আগামী ৪ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বুথে বুথে রামনবমী পালনের নির্দেশ ইতিমধ্যেই সব জেলায় পৌঁছে গিয়েছে। তবে তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে রাজি নন দলের নেতারা। শুক্রবার বিজেপির শিলিগুড়ির সাংগঠনিক সভাপতি প্রবীণ অগ্রবাল বলেন, ‘‘সংগঠন শক্তিশালী করতেই বৈঠক ডাকা হয়েছে। রাজ্য নেতারা উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকের পরে একটি জনসভাও হবে।’’ সেই জনসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার হাজির থাকার কথা। বিজেপি নেতাদের দাবি, সরাসরি দলের পতাকা নিয়ে উৎসব করলে অনেকেই সামিল হতে চাইবেন না। উল্টে অরাজনৈতিক কমিটি গড়়ে অথবা আয়োজন করে সেখানে দলের নেতারা সামিল হলে জনসংযোগ ভাল হবে বলে মনে করছে বিজেপি।