BJP

BJP: মালদহ, কালিয়াচকে দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া বিজেপি-র

বিজেপি পরিচালিত মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুভলক্ষ্মী গায়েনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি অনাস্থা আনে তৃণমূল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:৫৯
Share:

নিজস্ব চিত্র।

জোড়া ধাক্কা খেল বিজেপি। তাদের পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল পুরনো মালদহে। তৃণমূলের ডাকা অনাস্থায় মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান অপসারিত হলেন। অন্য দিকে, কালিয়াচকের চরি অনন্তপুরে তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডেকে ‘মুখ পুড়ল’ বিজেপি-র। গ্রাম পঞ্চায়েত ধরে রাখল তৃণমূল-ই। বিজেপি-র জেলা নেতৃত্ব স্বীকার করেছেন, গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই হাতছাড়া হয়েছে মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত। যদিও চরি অনন্তপুরে তাদের সদস্যদের ভয়, প্রলোভন দেখানোর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। পাল্টা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এ সব বিজেপি-র ফাঁকা আওয়াজ। ভিতরে কিছু নেই। চাইলে একদিনেই বিজেপি সাফ হয়ে যাবে।

পুরনো মালদহ ব্লকে মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত। বিজেপি পরিচালিত এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুভলক্ষ্মী গায়েনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি অনাস্থা আনে তৃণমূল। চার জন বিজেপি সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার সেই অনাস্থায় শুভলক্ষ্মীকে পরাজিত করে তৃণমূল। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ১৬। তার মধ্যে বিজেপি-র ১০টি আসন, তৃণমূলের পাঁচটি। কংগ্রেসের ১টি। প্রধান নির্বাচিত হন বিজেপি-র শুভলক্ষ্মী। কিন্তু সোমবার তৃণমূলের ডাকা অনাস্থায় অপসারিত হন বিজেপি প্রধান। তৃণমূলের পক্ষে ভোট পড়ে ১১টি।

অন্যদিকে ১৪ আসন বিশিষ্ট কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের চরি অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকে বিজেপি-সহ বিরোধীরা। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪টি আসনের মধ্যে সাতটি আসন তৃণমূলের দখলে, তিনটি বিজেপি-র। দু’টি করে আসন পেয়েছে কংগ্রেস এবং নির্দল। বিজেপি-র তিন সদস্য, কংগ্রেস দু’জন এবং এক জন নির্দল সদস্য তৃণমূল প্রধান শাহানারা বিবির বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকেন। কিন্তু সেই অনাস্থার তলবি সভায় হাজির হননি বিরোধীরা। ফলে ৮-০ ভোটে খারিজ হয়ে যায় অনাস্থা। যার জেরে তৃণমূলের দখলেই রইল গ্রাম পঞ্চায়েত। আর এই দুই পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করে খুশি তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, “বিজেপি-র কিছু নেই। শুধু ফাঁকা আওয়াজ আছে। চাইলে এক দিনে পুরো বিজেপি ফাঁকা হয়ে যাবে।” এ বিষয়ে জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “নিজেদের মধ্যে বিবাদের কারণে মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছে। তবে চরি অনন্তপুরের ক্ষেত্রে বিজেপি সদস্যদের ভয় এবং প্রলোভন দেখানো হয়েছে। যার জেরে সেটাও হাতছাড়া হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন