Kalimpong

পাহাড়ে মিছিল, চিন্তায় অনীত

দার্জিলিং এবং কালিম্পং পাহাড়ে সার্বিক লকডাউন চলছে। পাহাড়ের লকডাউন সবসময় পুরোপুরি কার্যকরী হয়।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২০ ০৭:৩২
Share:

ফাইল চিত্র

ধর্মের নামে পাহাড়ে বিভাজন, রাজনীতি করার চক্রান্ত রোখার ডাক দিলেন জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা। মঙ্গলবার কালিম্পঙে লকডাউন ভেঙে রামের নামে স্লোগান দিয়ে একটি মিছিল হয়। ২০-৩০ যুবক এই মিছিল থেকে রামের নামে সবাইকে একজোট হওয়ার বার্তা দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। যাকে ঘিরে পাহাড়ের রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। পাহাড়বাসীরা অনেকেই বলছেন, পাহাড়ের দাবিদাওয়া, আলাদা রাজ্যের নামে বহুবার আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু ধর্মের নামে একজোট হওয়ার ডাক কোনওদিন দেওয়া হয়নি।

Advertisement

দার্জিলিং এবং কালিম্পং পাহাড়ে সার্বিক লকডাউন চলছে। পাহাড়ের লকডাউন সবসময় পুরোপুরি কার্যকরী হয়। সেখানে আইন ভেঙে এই মিছিল নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে পাহাড়ে। জিটিএ চেয়ারম্যান তথা মোর্চার সচিব অনীতের বক্তব্য, ‘‘পাহাড়ে কোনওদিন ধর্মের নামে বিভাজন, রাজনীতি হয়নি। কিছুদিন ধরে যা হচ্ছে, তা ভাল ঠাওর হচ্ছে না। জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’ পাহাড়বাসীদের এদের থেকে সতর্ক থাকার আবেদন করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘‘পাহাড়ের ইতিহাসে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের ঘটনা নেই। তা কোনওদিন হবেও না।’’

কোনও সংগঠনের কথা বলে অনীত সরাসরি অভিযোগ করেননি। তাই কোনও দলের তরফে জিটিএ চেয়ারম্যানের বক্তব্যের পাল্টা বক্তব্য দেওয়া হয়নি। তবুও মোর্চার একাংশের দাবি, বিজেপি নেতাদের একাংশের সিদ্ধান্তেই ওই মিছিল হয়েছিল। কালিম্পং পুলিশ-প্রশাসনের তরফেও কারা ওই মিছিলে ছিলেন তা নিয়ে খোঁজখ নেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, প্রয়োজনে মিছিলকারীদের বিরুদ্ধে মামলাও হতে পারে।

Advertisement

পাহাড়বাসীদের একটা অংশ জানাচ্ছেন, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের সময় থেকেই পাহাড়ে ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি শুরু হয়েছিল বলে অভিযোগ। পাহাড়বাসীদের একটা বড় অংশের এক মহারাজকে শ্রদ্ধা করে মেনে চলায় তাকে ভোটে দাঁড় করানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। পরে অবশ্য তিনি রাজি হননি। এ ছাড়াও বহু গেরুয়া ঘেঁষা সংগঠনের কর্তারা পাহাড়ে কাজকর্ম শুরু করেছিলেন। পাহাড়ে সব সম্প্রদায়ের মানুষ বরাবর একসঙ্গে থাকেন। কখনও কোনও সাম্প্রদায়িক ভুল বোঝাবুঝি হয় না। এ বার রামের নামে একদল পাহাড়ে নিজেদের জমি শক্ত করতে নেমেছেন ভেবে মোর্চা নেতারা চিন্তিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন