মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারে তৃণমূল। এই আশঙ্কায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরে দলের ২৪ জন প্রার্থীকে ‘নিরাপদ জায়গা’য় সরিয়ে দিল বিজেপি। সোমবার রায়গঞ্জ পুরসভা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। শহরের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৬টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। ২৭ এপ্রিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন।
বিজেপির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শঙ্কর চক্রবর্তীর অভিযোগ, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এক টানা হুমকি দিয়ে চলেছে। সেই চাপা সন্ত্রাস উপেক্ষা করে শহরের ২৬টি ওয়ার্ডের বিজেপির প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁর আশঙ্কা, ‘‘তৃণমূল আমাদের প্রার্থীদের ভয় দেখিয়ে মনোনয়নপত্র তুলে নিতে বাধ্য করতে পারে। তাই দু’জন নেতা বাদে বাকি ২৪ জনকে দল নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে দিয়েছে।’’ তিনি জানান, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর দিন ২৮ এপ্রিল তাঁদের ওয়ার্ডে ফিরে প্রচার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দামের দাবি, ‘‘তৃণমূলের হামলার ভয়ে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেননি।’’
কিন্তু তৃণমূল এ ব্যাপারে কেন পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করেনি? নির্মলবাবুর দাবি, পুলিশ ও প্রশাসনের উপর দলের কোনও আস্থা নেই। তাই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।’’
জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের পাল্টা দাবি, ‘‘বিজেপি প্রার্থী না পেয়ে বেশির ভাগ ওয়ার্ডে জোর করে কিছু মানুষকে প্রার্থী হতে বাধ্য করেছে। তাঁরা ভোটের ময়দান থেকে সরে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করে মনোনয়নপত্র তোলার শেষ দিন পর্যন্ত তাঁদের গোপন জায়গায় সরিয়ে নজরবন্দি করে রেখেছে বিজেপি। তা আড়াল করতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’’