পোয়াতের কুঠিতে সভা বিজেপি রাজ্য সভাপতির। — নিজস্ব চিত্র
সাবেক ছিটমহলের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দের অর্থ নয়ছয় হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখার দাবি তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের অবস্থা সরেজমিনে খোঁজখবর নিতে তিনি কোচবিহারে যান। বিকেলে পোয়াতেরকুঠিতে একটি সভাও করেন। সেখানে নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটির কর্তা দীপ্তিমান সেনগুপ্তও ছিলেন। দিলীপবাবু অভিযোগ করেন, “যে মানুষগুলি আস্থা রেখে আমাদের দেশে এসেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের উন্নয়নের জন্য টাকা পাঠাচ্ছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের যথেষ্ট আন্তরিকতার অভাবে তাঁদের কাছে সেই সুবিধে পৌঁছচ্ছে না।” এরপরেই তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আমাকে বলা হয়েছে ১৭ কোটি টাকা বাড়ি তৈরির জন্য দেওয়া হয়েছে। ২০১টি টিনের বাড়ি হয়েছে। তাতে দু’কোটি টাকাও খরচ হয়নি। বাকি টাকা কোথায় গেল?” তবে তাঁর বক্তব্য, দিল্লি যে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছে, ওতেই দায়িত্ব শেষ হচ্ছে না। দিলীপবাবু জানান, চলতি মাসেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের জন্য তৈরি বাড়ির মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এ দিন সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের ফ্ল্যাট দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে দাবি করে তিনি জমি বরাদ্দের জন্য সওয়াল করেন। তাঁর অভিযোগ, স্কুল, স্বাস্থ্য, যোগাযোগের উন্নয়ন হয়নি। রেশন মিলছে না। বিজেপির রাজ্য সভাপতির বক্তব্য অবশ্য আমল দিতেই রাজি হননি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, “দিলীপবাবুর বাস্তব কোনও অভিজ্ঞতা নেই। তাই তাঁর কোন কথার উত্তর দিতে চাই না। রাজ্য সরকার ও জেলা প্রশাসন ঠিকভাবেই কাজ করছে। মানুষের কোনও অভিযোগ নেই।”
পোয়াতেরকুঠি যাওয়ার পথে বামনহাটের পাথরসন এলাকায় বর্ষার কাদা রাস্তায় বিজেপি সভাপতির সফরসঙ্গীদের একটি গাড়ি ফেঁসে যায়। এদিকে গোটা ঘটনায় নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটির সঙ্গে বিজেপির ঘনিষ্ঠতা প্রকাশ্যে এসেছে। বিজেপির নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটির মুখ্য সম্বন্বয়ক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত অবশ্য বলেন, “দুটি সংগঠন কোন মৌলিক ইস্যুতে একযোগে আন্দোলন করতেই পারে।” বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা নিয়ে দীপ্তিমানবাবুর বক্তব্য, “ওই বিষয়টি সময়ের ওপরে ছেড়ে দেওয়াই ভাল।”