শিলিগুড়ির পুরভোটে দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। সেই সমস্যা যাতে মহকুমা পরিষদের ভোটে মাথাচাড়া না দেয়, সে কারণে আগেভাগেই ঘর গোছাতে নামল বিজেপি।
বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি লাগোয়া বিধাননগরে মহকুমার চারটি ব্লকের সভাপতি ও অঞ্চলের সভাপতি ও সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠক করলেন দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। তিনি জানান, শিলিগুড়ি পুরসভা ভোটের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে মহকুমা পরিষদে নামতে চাইছেন তাঁরা। সে কারণেই এই বৈঠক। তবে এই এলাকায় সিপিএম ও কংগ্রেসের একটা প্রভাব রয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েও তাঁর আশা, এবারে বিজেপি খালি হাতে ফিরবে না। এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি রথীন বসুও।
পুরসভার আগে আসন বন্টন থেকে শুরু করে সাংগঠনিক কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ চরম আকার নিয়েছিল শিলিগুড়ির বিজেপি কর্মীদের মধ্যে। ক্ষোভ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে তাঁদের হাতে হেনস্থা হতে হয় দলের এক রাজ্য সম্পাদককেও। ভোটের ফলে যার প্রভাব পড়েছিল ভাল রকমই। দলের এক নেতা জানান, সেই একই ভুল আর করতে চাইছেন না তাঁরা।
দল সূত্রের খবর, পুরসভার প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে কংগ্রেসের চেয়ে তাঁরা এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু আসন সংখ্যায় পিছিয়ে থাকাটাই তাদের মাথাব্যথার কারণ। সে কারণে মহকুমা পরিষদে মাত্র ৭ টি আসন থাকলেও যেন তেন প্রকারে তাতে থাবা বসাতে মরিয়া তাঁরা। সে কারণে রাজ্য সভাপতিকেও ছুটে আসতে হয়েছে এলাকায়।
তবে কাজ যে সহজ নয়, তা বিজেপির অনেকেই মানছেন। এদিন দলের কর্মীদের কাছ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এখনকার হৃদতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেক নেতা-কর্মী। দলের একাংশের দাবি, তৃণমূলের বিরোধিতা করে ভোটে লড়তে চাইছেন তাঁরা, আর এ সময়েই মোদীর সঙ্গে মমতার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন উঠছে।
এর জবাবে রাহুলবাবু বলেন, ‘‘মোদী-মমতা ঘনিষ্ঠতা বলে যা প্রচার হচ্ছে তা নিতান্তই প্রশাসনিক। এর সঙ্গে দলীয় নীতি বদলানোর কোনও ব্যাপার নেই।’’ তবে তৃণমূল ব্ল্যাকমেলের রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। এর বিরুদ্ধে কর্মীদের রুখে দাঁড়ানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়।