Bodies Recovered in Siliguri

শিলিগুড়িতে বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার মা ও ছেলের দেহ, অসুস্থ মেয়ে, খবর শুনে হৃদরোগে আক্রান্ত বাবা

বৃহস্পতিবার সকালে মেয়ে তেজল তন্ময়কে জানায়, তার ভাই এবং মা সাড়া দিচ্ছে না। খবর পেয়ে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তন্ময় উত্তরায়ণ টাউনশিপ ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৫৬
Share:

শিলিগুড়ির বাড়ি থেকে উদ্ধার মা এবং ছেলের দেহ। — নিজস্ব চিত্র।

শিলিগুড়িতে বৃহস্পতিবার সকালে বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার মা এবং আট বছরের ছেলের দেহ। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার মেয়ে তেজল দাস। এ দিকে স্ত্রী তিথি দাস এবং ছেলে তেজস দাসের মৃত্যুর খবর পেয়ে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন স্বামী সুজিত দাস। কী ভাবে মা, ছেলের মৃত্যু হয়েছে, ধন্দে পুলিশ।

Advertisement

শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়ার উত্তরায়ণ টাউনশিপে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সুজিত ও তাঁর পরিবার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজের সূত্রে ৪৪ বছরের সুজিত শহরের বাইরে ছিলেন। জাতীয় সড়কের ঠিকাদারি কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি। ১ জানুয়ারি রাতে বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করে খেয়েছিলেন তিথি, মেয়ে তেজল, ছেলে তেজস এবং ভাগ্নে তন্ময় সরকার। তিথির বয়স ৩৮ বছর। খাওয়া-দাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়েন তাঁরা। একটি ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা, মেয়ে এবং ছেলে। অন্য ঘরে ছিলেন তন্ময়। গত কয়েক বছর ধরে ওই বাড়িতে থাকতেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে মেয়ে তেজল তন্ময়কে জানায়, তার ভাই এবং মা সাড়া দিচ্ছে না। খবর পেয়ে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তন্ময় উত্তরায়ণ টাউনশিপ ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ সূত্রের খবর, তিথির দেহ শৌচালয়ের কাছ থেকে উদ্ধার হয়। তেজসের দেহ উদ্ধার হয় বিছানা থেকে। মা এবং ছেলেকে উদ্ধার করে মাটিগাড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্য দিকে, অসুস্থ অবস্থায় মেয়েকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। সুজিত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছেলে ও স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন। কী ভাবে মা, ছেলের মৃত্যু হল তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।

Advertisement

পুলিশ বাড়িতে পৌঁছে একটি পাত্র উদ্ধার করে। সেই পাত্রে কয়লা জ্বলছিল ঘরের ভেতর। হিটারও চালানো ছিল। ইতিমধ্যে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ডিসিপি বিশ্বচাঁদ ঠাকুর। তিনি বলেন, ‘‘একই ঘর থেকে মা ও ছেলের দেহ উদ্ধার হয়। ও-ই ঘরে মেয়েও ঘুমিয়েছিল। সে গুরুতর অসুস্থ। তবে এই মৃত্যুর কারণ এখনই সঠিক ভাবে বলা সম্ভব নয়। ঘর থেকে একটি জ্বলন্ত কয়লার পাত্র উদ্ধার হয়েছে। গোটা বিষয়টির তদন্ত চলছে।’’ পরিচারিকা সুমতি মুন্ডা বলেন, ‘‘রাতে খেয়ে শুয়েছিল। কী ভাবে কী হল, কিছুই জানি না। আমি সকালে জানতে পারি মৃত্যুর খবর।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement