পরিত্যক্ত একটি ব্যাগকে ঘিরে বোমাতঙ্ক ছড়াল শিলিগুড়িতে।
বৃহস্পতিবার সকালে হাসমিচক লাগোয়া পূর্ত দফতরের বাংলোর সামনে রাস্তার পাশে একটি নীল রঙের ব্যাগ পড়েছিল। অন্তত কুড়ি মিনিট ধরে দাবিদারহীন একটি ব্যাগ এ ভাবে পড়ে থাকায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। কে না, সকালের দিকে হিলকার্ট রোড থেকে হাসমিচক হয়ে কোর্ট মোড়ে যাওয়ার রাস্তাটিতে চূড়ান্ত ব্যস্ততা থাকে। সে সময় পূর্ত দফতরের বাংলোর সামনে দাবিদারহীন একটি ব্যাগ পড়ে থাকায় স্বাভাবিক ভাবে সন্দেহ হয় সকলের। ভিড় জমতে শুরু হয়। বাংলোর ভিতর থেকে কর্মীরাও বেরিয়ে আসেন। কিছু সময়ের জন্য এলাকা দিয়ে যান চলাচলও ব্যাহত হয়। তবে পুলিশ আসার আগেই ব্যাগের দাবিদার উপস্থিত হন। অটোয় ওঠার সময় ব্যাগটি রাস্তায় ফেলে গিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া থেকে আসা একটি পরিবার বুধবার রাতে বাংলোতে ছিল। এ দিন সকালে বাংলো থেকে বের হয়ে সামনে রাস্তা থেকে তাঁরা অটোয় ওঠেন। তখন ব্যাগটি রাস্তায় ফেলে চলে গিয়েছিলেন বলে দাবি।
সম্প্রতি একই ভাবে বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল জলপাইগুড়িতে। শহর লাগোয়া তিস্তা সেতুতে একটি দাবিদারহীন টিফিন কৌটো থেকে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। জাতীয় সড়কের উপর তিস্তা সেতু বরাবরই নাশকতার লক্ষ্য বলে গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়। সে কারণে আতঙ্ক কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছিল। ঘণ্টা তিনেক জাতীয় সড়ক তথা সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। সিআইড বম্ব স্কোয়াডের অফিসার পৌঁছয় শিলিগুড়ি থেকে। কৃত্রিম ভাবে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কৌটো খোলা হয়। তবে ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছিল খিচুড়ি। এ দিন শিলিগুড়ি শহরের প্রাণকেন্দ্রে বোমাতঙ্ক তৈরি হওয়ায় উত্তেজনা ছড়ায়। পাশেই আদালত, মহকুমাশাসকের দফতর, হাসপাতাল থাকায় আতঙ্ক বেড়ে যায়। তবে কিছু পরেই ব্যাগের দাবিদার উপস্থিত হওয়ায় পরিস্থিতি আয়ত্ত্বের বাইরে যায়নি। এ দিন ব্যাগের মালিককে পাওয়া গেলেও পাশেই আদালত, মহকুমাশাসকের দফতর, হাসপাতাল থাকায় আতঙ্ক বেড়ে গিয়েছিল।