Toy Train Engine

টয় ট্রেনের ইঞ্জিন তৈরির বরাত বঙ্গাইগাঁওয়ে

প্রায় এক বছর ধরে ধুঁকছে টয় ট্রেন। প্রায়ই ইঞ্জিন বিগড়ে যাত্রীদের অনিশ্চয়তা বেড়েছে। পরিষেবা ঠিক মতো দেওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

শান্তশ্রী মজুমদার

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:২৫
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

দার্জিলিং জেলায় নয়, টয় ট্রেনের জন্য নতুন ইঞ্জিন তৈরি হবে নিউ বঙ্গাইগাঁও রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্রে। রেল সূত্রের খবর, এর মধ্যে কয়েকটি ইঞ্জিন সেখান থেকে বানানোর জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও তিনধারিয়া কর্মশালাটিকে বড় করে সেখানেই ইঞ্জিন তৈরির কথা ছিল। বাংলার বদলে সেই সুযোগ পাচ্ছে অসম। এ ভাবেই একটু একটু করে ঐতিহ্যের তকমা নিয়ে বিপদ বাড়ছে, বলে দাবি পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলির।

Advertisement

প্রায় এক বছর ধরে ধুঁকছে টয় ট্রেন। প্রায়ই ইঞ্জিন বিগড়ে যাত্রীদের অনিশ্চয়তা বেড়েছে। পরিষেবা ঠিক মতো দেওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবারও মহানদী স্টেশনের কাছেইঞ্জিন বিকল হওয়ায় যাত্রীরা বিরক্ত হন। ট্রেন বিগড়ে গেলে যাত্রীদের ছোট গাড়ি করে সড়কপথে দার্জিলিং পৌঁছনো হচ্ছে, অথবা সেখান থেকে গন্তব্যে নামানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ক্ষতির বোঝা অনেকটাই বাড়বে বলে আশঙ্কা রেলের। সে কারণেই ইঞ্জিন তৈরির উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে বলেই জানান আধিকারিকেরা। কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার বলেন, ‘‘নিউ বঙ্গাইগাঁও স্টেশনে কয়েকটি ইঞ্জিন নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’

সূত্রের খবর, এ রাজ্যের বদলে অসমে কেন ইঞ্জিন তৈরি করা হচ্ছে, সে প্রশ্ন উঠেছে রেলের অন্দরেই। রেল সূত্রের বক্তব্য, শিলিগুড়ি বা এনজিপি-তে তৈরি করা যেত টয় ট্রেন ইঞ্জিন তৈরির কারখানা। সমতল থেকেই পাহাড়ে ওঠে টয় ট্রেন। তা ছাড়াও, শিলিগুড়ি স্টেশনেই টয় ট্রেনের বড় শেড রয়েছে। তার পাশে বেশ কিছুটা ফাঁকা জায়গাও রয়েছে। সেখানে এই কারখানা তৈরি করা যেত বলেই মনে করছেন রেল আধিকারিকদের অনেকেই। আবার রেলের অন্য একটি সূত্রের দাবি, তিনধারিয়া ছাড়া, টয় ট্রেনের ইঞ্জিন রক্ষণাবেক্ষণের জায়গা নেই দার্জিলিং হিমালয়ান রেলে (ডিএইচআর)। তাই ‘ডিএইচআর’-এর বাইরে থেকে সে কাজ করিয়ে আনতে হচ্ছে।‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল অবশ্য বলেন, ‘‘এ ভাবে বাইরে থেকে কাজ করলে বিশ্ব ঐতিহ্যের তকমা নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে। ডিএইচআর এলাকাতেই লোক নিয়োগ করে, পরিকাঠামো বাড়িয়ে রক্ষণাবেক্ষণে জোর দিক রেল।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন