বাস ভাঙলে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি

নতুন নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে প্রায় একসপ্তাহ ধরে উত্তর দিনাজপুর জুড়ে আন্দোলন চলছে। অভিযোগ, গোলমালের মধ্যে পড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৯টি বেসরকারি বাস ভাঙচুর করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:১৩
Share:

জাতীয় ও রাজ্য সড়কে নিরাপত্তার দাবি বাসমালিকদের। —ফাইল চিত্র

নতুন নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে প্রায় একসপ্তাহ ধরে উত্তর দিনাজপুর জুড়ে আন্দোলন চলছে। অভিযোগ, গোলমালের মধ্যে পড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৯টি বেসরকারি বাস ভাঙচুর করা হয়। তার জেরে জেলায় জাতীয় ও রাজ্য সড়কে নিরাপত্তার দাবি করলেন বাসমালিকেরা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার জেলা বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জেলাশাসক ও রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপারকে ক্ষতিগ্রস্ত বাসের তালিকা-সহ একটি দাবিপত্র পাঠানো হয়েছে। সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, দাবিপত্রে অবিলম্বে জেলার দশটি থানা এলাকার জাতীয় ও রাজ্য সড়কে নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এর পরে জেলায় একটিও বাস ভাঙচুর করা হলে সংগঠনের তরফে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে বলেও তাতে জানানো হয়েছে।

জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা বলেন, ‘‘জেলার সমস্ত এলাকায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে। তাতে রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সহযোগিতাও চাওয়া হয়েছে।’’ রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সক্রিয় রয়েছে পুলিশ। বাসিন্দাদের কোনও প্ররোচনা বা গুজবে প্রভাবিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’’

Advertisement

জেলা বাস ও মিনিবাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্লাবন প্রামাণিকের অভিযোগ, ১৫ ডিসেম্বর আন্দোলনকারীরা ইটাহার ও করণদিঘি থানা এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে রায়গঞ্জ থেকে মালদহ ও ইসলামপুর রুটের দু’টি বেসরকারি বাস ভাঙচুর করে। ১৬ ডিসেম্বর চাকুলিয়া থানার কানকি এলাকার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে আন্দোলনকারীরা রায়গঞ্জ থেকে শিলিগুড়ি রুটের চারটি বাসে ভাঙচুর চালায়। গত বুধবার রায়গঞ্জ থানার কসবা ও ইটাহার থানার দুর্গাপুর এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে রায়গঞ্জ থেকে চূড়ামণ ও মালদহ রুটের তিনটি বেসরকারি বাসেও ভাঙচুর করা হয়। তার মধ্যে চূড়ামণ রুটের একটি বাসের মালিক ইটাহারের তৃণমূল বিধায়ক তথা দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অমল আচার্য। ওই রুটের অপর বাসটির মালিক প্লাবন।

অমলের কথায়, ‘‘আন্দোলনের নামে পরিকল্পিত ভাবে গোলমাল, হামলা ও বাস ভাঙচুর হচ্ছে। রং বিচার না করে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করতে পুলিশকে অনুরোধ করেছি।’’

প্লাবনের বক্তব্য, ‘‘জেলা জুড়ে বাস ভাঙচুরের ঘটনা বাড়তে থাকায় মালিকেরা চরম লোকসানের মুখে পড়েছেন। হামলার আশঙ্কায় চালক ও কন্ডাক্টরেরা কাজে যোগ দিতে চাইছেন না। বাসে যাত্রী মিলছে না।’’ এরপর জেলায় আর একটি বাস ভাঙচুর হলে সংগঠনের তরফে অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলাজুড়ে বেসরকারি বাস ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে বলে সংগঠনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন