গাড়ির চাপে ভগ্ন বাইপাস

সরাসরি মালবাহী ভারী গাড়িগুলিকে শহরের ভিতর ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই বাইপাস রাস্তাকে কাজে লাগিয়ে যাতায়াত করছে সেই গাড়িগুলি। শিলিগুড়ি ইস্টার্ন বাইপাসের রাস্তাকে ব্যবহার করে চলেছে ভারী যান এবং কিছু ছোট গাড়ি। সেই বাইপাস রাস্তার এখন বেহাল দশা। সংস্কারের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও গাড়ির চালকরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৮ ০৩:০০
Share:

ভয়াবহ: কয়েক দিনের বৃষ্টিতে শিলিগুড়ির ইস্টার্ন বাইপাসে এই ভাবে জল জমে গিয়েছে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

সরাসরি মালবাহী ভারী গাড়িগুলিকে শহরের ভিতর ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই বাইপাস রাস্তাকে কাজে লাগিয়ে যাতায়াত করছে সেই গাড়িগুলি। শিলিগুড়ি ইস্টার্ন বাইপাসের রাস্তাকে ব্যবহার করে চলেছে ভারী যান এবং কিছু ছোট গাড়ি। সেই বাইপাস রাস্তার এখন বেহাল দশা। সংস্কারের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও গাড়ির চালকরা।

Advertisement

শিলিগুড়ি শহরের বিধান রোডের চেকপোস্ট থেকে ইস্টার্ন বাইপাস পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিমি রাস্তা ভেঙে পড়েছে। রাস্তার মাঝে বড় বড় গর্তগুলি ডোবার আকার ধারণ করেছে। বৃষ্টিতে সেই রাস্তার জমা জল অতিক্রম করেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন গাড়িচালক থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। যে কোনও সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থেকেই যায়। আর তার থেকে রেহাই পেতেই রাস্তা সংস্কারের দাবি উঠলেও তা সংস্কার করা হচ্ছে না।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েক মাস আগে রাস্তা সংস্কার করা হলেও এতটাই নিম্নমানের কাজ হয়েছে যে দ্রুত রাস্তা ভেঙে পড়েছে। ওই রাস্তায় বেশ কয়েকটি বাম্পার দেওয়া হয়েছে। ওই বাম্পারগুলির রাস্তার উপর খুব দূর্বল ভাবে দেওয়া হয়েছে। ফলে সেগুলি ভেঙে যাওয়ায় রাস্তা দ্রুত ভেঙে পড়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ।

Advertisement

ইস্টার্ন বাইপাস থেকে বানেশ্বর, আশিঘড় পর্যন্ত বেশ কিছু যাত্রীবাহী ছোট গাড়ি যাতায়াত করে। বিধান রোডের ভক্তিনগর সংযোগকারী ওই বাইপাস রাস্তা দিয়েই কোচবিহার, জলপাইগুড়ি যাওয়া যায় দ্রুত। সেই রাস্তা দিয়ে নিত্য দিন প্রায় কয়েক হাজার মালবাহী গাড়ি যাতায়ত করে। গাড়ির চালক দীপক ভৌমিক, রতন মোহন্ত বলেন, ‘‘শহরের ভিতর মালবাহী গাড়ি সরাসরি ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়েই ইস্টার্ন বাইপাসের ওই রাস্তাকে ব্যবহার করে ভারি যানগুলি যাতায়ত করে।’’

স্থানীয় কাউন্সিলর দীলিপ সিং বলেন, ‘‘ইস্টার্ন বাইপাসের ওই রাস্তা ২০০২ সালে সেই সময়ের নগর উন্নয়ন মন্ত্রক নির্মাণ করছিলেন। কিছু দিন আগেও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রাস্তার নিম্ন মানের কাজের সমালচনা করেছিলেন। তারপর পূর্ত দফতরকে রাস্তা সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারাই এখন সেই রাস্তা দেখভাল করছেন। ওই রাস্তা সংস্কার পুরসভার এক্তিয়ারের মধ্যে নেই। রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার করা দরকার। সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন