আইন অমান্য আন্দোলন করার অভিযোগে কংগ্রেসের রাজ্য ও উত্তর দিনাজপুর জেলার কয়েকজন নেতা ও শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অগণতান্ত্রিক ভাবে সরকার পরিচালনা ও বিরোধীদের উপর অত্যাচারের অভিযোগে সোমবার রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় আইন অমান্য আন্দোলন করেছিল কংগ্রেস।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি তথা রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ দীপা দাশমুন্সি, জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্তের নেতৃত্বে ওইদিন দলের কয়েকশো নেতা-কর্মী আন্দোলনে যোগ দেন।
সেখানে তাঁরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে জেলাশাসকের দফতরের সামনে চলে যান বলে অভিযোগ। বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধ্বস্তাধস্তি বাধে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের একাধিক ব্যারিকেড উল্টে দেন বলেও অভিযোগ।
পুলিশের দাবি, আন্দোলনের ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের ফুটেজ দেখে মঙ্গলবার জেলা পুলিশের কর্তারা আব্দুল, দীপা, মোহিত-সহ কংগ্রেসের কয়েকশো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আইন অমান্য, সরকারি কাজে বাধা ও ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করার পর আদালত থেকেই অভিযুক্তদের কাছে সমন পৌঁছবে। সেই সমন অনুযায়ী অভিযুক্তেরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন না নিলে, পরবর্তীতে আদালতের তরফে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সুমিত কুমারের দাবি, আইন অমান্য, পুলিশকে সরকারি কাজে বাধা ও ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্তের স্বার্থে এই বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করা সম্ভব নয়।
জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দের হুঁশিয়ারি, পুলিশ কংগ্রেসের একজন নেতা বা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে কংগ্রেসের তরফেও পুলিশের বিরুদ্ধে দলের কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি ও মারধরের অভিযোগে পাল্টা মামলা দায়ের করা হবে।