বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর তদন্ত
CBI

CBI: ডাক্তারের সঙ্গে কথা গোয়েন্দার

ভোটের ফল প্রকাশের কিছুদিন পরে শীতলখুচির চানঘাট এলাকায় একটি বাঁশঝাড় থেকে ধীরেন্দ্রনাথের দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:৩০
Share:

ফাইল চিত্র।

বাঁশঝাড় থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল এক বিজেপি কর্মী ধীরেন্দ্রনাথ বর্মণের। পরিবারের দাবি, তাঁকে খুন করা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ওঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে জানানো হয়, ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। শীতলখুচি থানার চানঘাট এলাকার ওই ঘটনা নিয়ে এ বার ময়নাতদন্তের সঙ্গে যুক্ত থাকা চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই অফিসারেরা। সঙ্গে হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু নথিও নিয়ে যান তাঁরা। এর পরেই সিবিআই দলের সদস্যেরা শীতলখুচি থানায় যান। সেখানেও ওই মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। রাজ্য পুলিশের এক অফিসার বলেন, “ওই মামলার বিষয়ে সিবিআই যা যা জানতে চেয়েছে, সব জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় সমস্ত নথিও দেওয়া হয়েছে।” মাথাভাঙা হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, “আমাদের কাছে যা তথ্য ছিল তা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

ভোটের ফল প্রকাশের কিছুদিন পরে শীতলখুচির চানঘাট এলাকায় একটি বাঁশঝাড় থেকে ধীরেন্দ্রনাথের দেহ উদ্ধার হয়। ওই দিন থেকেই তা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়। ধীরেন্দ্রনাথের মেয়ে অভিযোগ করেন, তাঁর বাবাকে খুন করে সুকৌশলে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। যাতে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া যায়। তা নিয়ে তাঁর পরিবারের তরফে একটি খুনের মামলাও দায়ের করা হয়। ঘটনার ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়, ধীরেন্দ্রনাথ আত্মহত্যা করেছেন। এর পর থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি করেন তাঁর পরিবার। জাতীয় মানবধিকার কমিশনের কাছেও অভিযোগ জানান তাঁরা। কমিশনের একটি দল শীতলখুচি গিয়ে ধীরেন্দ্রনাথের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেও ওই পরিজনেরা সিবিআই তদন্তের দাবি করেন। এ বার সিবিআই তদন্ত শুরু করেই দফায় দফায় ওই গ্রামে যায়। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ঘটনাস্থলে গিয়েও তদন্ত করেন তাঁরা।

মঙ্গলবার সকালে মাথাভাঙা হাসপাতালে পৌঁছন তিন সদস্যের একটি সিবিআই দল। হাসপাতালের আধিকারিকদের খোঁজ করার পর চিকিৎসকের সঙ্গেও কথা বলেন। ওই সংক্রান্ত যা যা তথ্য হাসপাতালের হাতে রয়েছে, তা সংগ্রহ করে থানার উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা। এর পাশাপাশি এ দিনও কোচবিহারের গোপালপুরে অস্থায়ী শিবিরে বসেই আরও তিনটি খুনের ঘটনার তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে সিবিআই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement