নজরদারির জন্য সিসি ক্যামেরা হাসপাতালে

দিন কয়েকের মধ্যেই শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা চালু হতে চলেছে। বুধবার রোগী কল্যাণ সমিতির জরুরি বৈঠক করে এ কথা জানান চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:১৯
Share:

দিন কয়েকের মধ্যেই শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা চালু হতে চলেছে। বুধবার রোগী কল্যাণ সমিতির জরুরি বৈঠক করে এ কথা জানান চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য। ক্লোজড সার্কিট ক‌্যামেরা চালু হলে হাসপাতাল চত্বরে কোথায় কী ঘটছে তা নজরদারি করা সহজ হবে বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ১৬ টি জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, জরুরি বিভাগের প্রবেশ পথ ও অন্দর, সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট, পুরুষ এবং মহিলা সার্জিক্যাল বিভাগের করিডর, নতুন এবং পুরনো লেবার ওয়ার্ডের প্রবেশ পথ, হাসপাতাল প্রবেশ পথ, বহির্বিভাগ, স্টোর, ব্লাড ব্যাঙ্ক। রুদ্রবাবু বলেন, ‘‘রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকেই হাসপাতালে সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। দুই এক দিনের মধ্যেই ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হবে। ’’

এ দিন হাসপাতালের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান জানান, হাসপাতাল ভবনে চারতলার অংশ নির্মাণের জন্য ২০ লক্ষ টাকা মিলেছে। হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার জন্য ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকার পরিকল্পনা পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরে। বরাদ্দ পেলে অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা গড়ে তোলা যাবে। বহির্বিভাগেরও সংস্কার করা হচ্ছে। অপারেশন থিয়েটার, এসএনসিইউ এবং অবজারভেশন ওয়ার্ডে পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থার জন্য ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ করা হবে। স্টাফ কোয়ার্টারের জায়গায় তিন তলা নতুন ভবন তৈরি হবে। সে জন্য ওই কোয়ার্টারের বাসিন্দাদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হবে। প্রস্তাবিত ভবনের তিন তলায় প্রসূতি এবং শিশুদের চিকিৎসার জন্য ১০০ শয্যার একটি আলাদা ‘হাব’ হবে। দোতলায় হবে নার্সিং স্কুল। নিচ তলায় নার্সিং স্কুলের প্রশাসনিক বিভাগ থাকবে।

Advertisement

পানীয় জল সরবরাহের জন্য ‘প্ল্যান্ট’ বসাতে ২৭ লক্ষ টাকার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য দফতরে পাঠানো হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। পিপিপি মডেলে হাসপাতালে যে এক্সরে, সিটি স্ক্যান এবং ডায়ালিসিস পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে সেখানে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে বলেও দাবি করা হয়। হাসপাতাল সুপার অমিতাভ মণ্ডলের দাবি, গত বছর জুন থেকে অগস্ট শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ১০,৪৭৫ জন ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ১২১৩ জনকে রেফার করা হয়েছিল। এ বছর ওই তিন মাসে রেফার করা হয়েছে ১২৭৬ জনকে। বিভিন্ন বিভাগে পরিষেবার মান বাড়ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে তুলনামূলক বিচার করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন