উৎসব ফিকে সইদের ঘরে

এক মাস আগে কর্মস্থল ইসলামপুর থানায় যাওয়ার সময় তাঁর মোটরবাইককে ধাক্কা মারে উল্টোদিক থেকে আসা একটি বালিবোঝাই ট্রাক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সিভিক ভলান্টিয়ার্স সইদ আজমের(২৮)। ইসলামপুরের গেন্নাবাড়িতে তিন মাসের শিশুকন্যাকে নিয়ে অসহায় স্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৭ ১৭:০০
Share:

সইদ আজমের পরিবার। নিজস্ব চিত্র

রোজা রাখেনি কেউ। দেখবেন না ইদের চাঁদও। বিষাদের চাদরে মুখ ঢেকেছে সইদ আজমের পরিবার।

Advertisement

সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরিটা পাওয়ার পর পরিবারের সমস্ত দায়িত্বই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন সইদ। দাদা ভিনরাজ্যে মৌলবি। ছোট ভাইয়েরও রোজগার নেই তেমন। সীমিত সামর্থ্যেই সব সামলে ছোট কুড়ে ঘরে থাকতেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে। রোজার আগেই পরিবারের লোকেদের কাকে কী পোশাক দেবেন ঠিক করে ফেলেছিলেন। আসলে আয় অল্প হলেও সমস্ত কিছুই গুছিয়ে করার অভ্যেস হয়ে গিয়েছিল যে। এ জন্য থানাতেও পুলিশ আধিকারিকদের খুবই প্রিয়পাত্র হয়ে ছিলেন তিনি।

এক মাস আগে কর্মস্থল ইসলামপুর থানায় যাওয়ার সময় তাঁর মোটরবাইককে ধাক্কা মারে উল্টোদিক থেকে আসা একটি বালিবোঝাই ট্রাক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সিভিক ভলান্টিয়ার্স সইদ আজমের(২৮)। ইসলামপুরের গেন্নাবাড়িতে তিন মাসের শিশুকন্যাকে নিয়ে অসহায় স্ত্রী। সংসার চালানোর চিন্তায় চোখের জল শুকিয়েছে পরিবারের। আজমের স্ত্রী বছর ২২ এর গুলফা বেগম বলেন, ‘‘হটাৎ করেই আকাশ ভেঙে পড়ল। মেয়েও রয়েছে তিন মাসের। বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি রয়েছেন। কী করে চলবে? শুনেছি কেউ মারা গেলে চাকরি পায়। ও সিভিক ছিল বলে কি সেই অধিকারটুকুও পাব না?’’

Advertisement

তবে পুলিশ সূত্রে খবর, ইদের আগে কিছুটা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে সইদ আজমের পরিবারের লোকেদের। পঞ্চায়েত থেকেও সহযোগিতা করা হয়েছে। ইসলামপুর থানার আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘খুবই ভাল ছেলে ছিল আজম। অকালে এ ভাবে মারা যাবে তা ভাবতেও পারছি না। ওদের পরিস্থিতির কথা উপর মহলে জানিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন