আজ, সোমবার সরকারিভাবে রায়গঞ্জ পুরসভার সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণ ও চেয়ারম্যান নির্বাচন। কিন্তু তার একদিন আগে রবিবার রাত পর্যন্ত নয়া চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করেনি তৃণমূল। তৃণমূলের অন্দরের খবর, চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে রায়গঞ্জে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়াতে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বই চেয়ারম্যানের নাম চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনকী চেয়ারম্যান কাকে করা হবে, সেই বিষয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যকেও দলের রাজ্য নেতৃত্ব কিছুই জানাননি বলে জানা গিয়েছে।
অমলবাবুর দাবি, দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর কাছে দলের সমস্ত কাউন্সিলরদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতার সমস্ত তথ্য রয়েছে। সোমবার শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানের আগে দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব মুখবন্ধ খামে নয়া চেয়ারম্যানের নাম পাঠাবেন! তারপরেই চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, পুরসভা নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৪টি ওয়ার্ডেই তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী হয়ে কংগ্রেসের দুর্গ ভেঙে দিয়েছেন। কংগ্রেস ২টি ও বিজেপি একটি আসনে জয় পেয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, পুরসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর একাধিক কাউন্সিলর চেয়ারম্যানের দাবিদার হিসেবে পৃথকভাবে জেলা তৃণমূল সভাপতি অমলবাবুর দ্বারস্থ হন। কিছু কাউন্সিলর আবার তাঁদের চেয়ারম্যান করার দাবি জানিয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে চিঠিও পাঠান। এক কাউন্সিলর সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরদের সমর্থন রয়েছে বলে দাবি জানিয়ে তাঁদের সকলের সই সমেত তাঁকে চেয়ারম্যান করার দাবি জানিয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে চিঠিও পাঠান। এই পরিস্থিতিতে দলের তরফে চেয়ারম্যান নির্বাচন করার দায়িত্ব অমলবাবুকে দেওয়া হলে দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হবে বলে আশঙ্কা করেন তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। সেই আশঙ্কা থেকেই রাজ্য নেতৃত্ব নিজেরাই নাম ঠিক করার সিদ্ধান্ত নেন।
অমলবাবুর বক্তব্য, চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে দলের জেলা নেতৃত্বের কোনও ভূমিকা নেই। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই তৃণমূলের অন্দরে চেয়ারম্যান হিসেবে ১৬, ১৮, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের চার তৃণমূল কাউন্সিলর অরিন্দম সরকার, দীনদয়াল কল্যাণী, সন্দীপ বিশ্বাস ও কেয়া চৌধুরীর নাম উঠে এসেছে।রাজ্য নেতৃত্ব চেয়ারম্যান হিসেবে কার নাম পাঠান, এখন সেটাই দেখার।