চামুর্চির এই ইকো-পার্ক খুলে দেওয়া হবে পুজোর আগেই। — রাজকুমার মোদক
পুজোর আগেই চালু হচ্ছে ভুটান পাহাড়ের নীচে ডুয়ার্সের বানারহাটের চামুর্চি ইকো-পার্ক। ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতি সাত বছর আগে ভুটান পাহাড় থেকে আসা রেতি ও সুকৃতি নদীর মধ্যে অবস্থিত চরে পার্কটির কাজ শুরু করে।
মঙ্গলবার পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব পার্কটি পরিদর্শন করেন। এই পার্কটি চালু হলে তা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান হিসাবে চিহ্নিত হবে বলে বিশ্বাস পর্যটকপ্রেমীদের।
গৌতমবাবু বলেন, “এ বার পুজোর আগেই চালু করা হবে পার্কটি। এখানে ১৮ জন পর্যটকের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। ভৌগলিক অবস্থানের দিক দিয়ে পার্কটি পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় উঠবে বলে আশা করি। পাশাপাশি, পুজোর আগেই ডুয়ার্সের আরও ১৭টি পর্যটন কেন্দ্র বা রিসর্ট চালু হবে।’’ গৌতমবাবু জানান, নতুন পর্যটন কেন্দ্রগুলির নাম কী হবে, তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন। দু’একদিনের মধ্যে পর্যটন কেন্দ্রগুলি সব তথ্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।
এই পার্কটি নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে প্রায় দু’কোটি টাকা। টাকার অভাবে কিছু দিন পার্কটির কাজ বন্ধ হয়ে পড়েছিল। পরে ফের চালু হয়। এখন সামান্য কাজ বাকি থাকলেও কাজ চলছে জোর কদমে। যা পুজোর আগেই শেষ হয়ে যাবে বলে দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। রিসর্টে বসেই তিন দিকে ভুটান পাহাড়, দুই দিকে রেতি ও সুকৃতি নদীর অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে পাবেন পর্যটকরা। চামুর্চি বাজারের ভিতর দিয়ে একটি ছোট বস্তি পার হলেই রেতি-সুকৃতি যেন দুই বোনের মতো বয়ে চলেছে। শীতকালে দুই নদী শুকিয়ে গেলেও বর্ষায় খরস্রোতা নদীর জলের শব্দ পর্যটকদের কাছে টানে। এই পার্ক থেকেই ঘুরে আসা যায় ভুটানের সামসি বাজার সহ বিভিন্ন এলাকা।
পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হলে উন্নতি হবে চামুর্চির ব্যবসাও। কাজ পাবে স্থানীয় কিছু বেকার যুবক। পুজোর আগেই বহু প্রতীক্ষিত পার্কটির উদ্বোধনের কথা শুনে খুশি চামুর্চির বাসিন্দারা। চামুর্চির যুবক কুমার ছেত্রী জানান, “পার্ক চালু হলে আমি কাজ পাই বা না পাই, আমার মতো কয়েক জনের জন্য তো কোনও কাজ জুটবে। তাই আশায় আছি।’’