অষ্টমীর সন্ধ্যায় এক কুকুরের হঠাৎ হানায় আতঙ্ক ছড়াল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বোড়ল সর্বজনীন পুজো মণ্ডপে। কুকুরটি ভরা মণ্ডপে ঢুকে আচমকা লোকজনকে আক্রমণ করে। কাউকে কামড়ে পায়ের মাংস তুলে নেয়। কারও বুকের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে কামড় দেয়। অষ্টমীর রাত থেকে নবমীর সকাল মিলিয়ে ওই এলাকায় কুকুরটির কামড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন মোট ২১ জন। এলাকার লোকজন কার্যত ঘরবন্দি হয়েই পুজো কাটাচ্ছেন এখন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অষ্টমীর সন্ধেয় ভরা মণ্ডপে কুকুরটি হঠাৎ হানা দিয়ে ১৭ জনকে কামড়ে জখম দেয়। সেই রাতেই ছ’টি কুকুরকে লাঠি পেটা করে মেরে ফেলেন এলাকার মানুষ। কিন্তু নবমীর সকালে ফের কুকুরটি চার জনকে কামড়ে দেয়। এই ঘটনায় প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। জখমদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের চিকিত্সাও শুরু হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বিএমওএইচ ছোটন মণ্ডল জানিয়েছন, কুকুরের কামড়ের দু’রকম প্রতিষেধক রয়েছে। একটি অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন। অন্যটি ইমিউনোগ্লোবিউলিন। কুকুর কামড়ালে দু’টি প্রতিষেধকই দিতে বলেন ডাক্তাররা। এবং দু’টি ওষুধই যথেষ্ট পরিমাণে মজুত রয়েছে। তাই আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।কিন্তু এলাকার লোকজন এখন বাইরে বেরতে হলে লাঠিসোটা হাতে নিয়ে যাচ্ছেন। তার থেকেও বড় বিষয়, পাগল কুকুর সন্দেহে এর মধ্যেই গত রাত থেকে এ দিন সকাল পর্যন্ত ছ’টি কুকুরকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন এলাকার মানুষ। কিন্তু তাতেও ‘দুষ্কৃতী’ কুকুরটিকে বাগে আনা যায়নি।