•বন্দি: সেই চিতাবাঘ। নিজস্ব চিত্র
মাঝে মধ্যেই চিতাবাঘ আক্রমণ চালিয়ে শ্রমিক মহল্লা থেকে নিয়ে যাচ্ছে ছাগল, শুয়োর। বন দফতরের পাতা খাঁচাতে চিতাবাঘ ধরা পড়তেই নগদে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করলেন চা বাগানের শ্রমিকেরা।
সোমবার রাত এগারোটা নাগাদ রাজাভাত চা বাগানের এতোয়া লাইনে ধরা পড়ে পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘ। চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি হয়েছে শুনে রাতেই চিতাবাঘটিকে আনতে যান বনকর্মীরা। নগদে ক্ষতিপূরণের দাবি করে খাঁচা-সহ চিতাবাঘ বন দফতরের হাতে দিতে চাননি নাছোড় গ্রামবাসী। প্রায় ছ-ঘণ্টা পরে সকাল সাতটা নাগাদ চিতাবাঘটিকে নিয়ে জঙ্গলে ছেড়ে দেন বনকর্মীরা। এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য গৌতম বড়াইক জানান, মাঝে মধ্যেই চিতবাঘ শ্রমিক মহল্লায় হানা দিয়ে গৃহপালিত পশু তুলে নিয়ে যায়। কিছুদিন আগে চেরকু মুন্ডার চারটি শুয়োর, যামনি ওরাঁওয়ের ছাগল ও জেভিয়ার্স ওরাঁওয়ের শুয়োর-সহ বেশ কয়েকজনের গৃহপালিত পশু নিয়ে গিয়েছে।
তাই চিতাবাঘ ধরা পড়ার পর থেকেই গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ নগদে ক্ষতিপূরণের দাবি করেন। চিতাবাঘ উদ্ধারে যাওয়া বিট অফিসার হিমাদ্রি দেবনাথ অনেক বোঝালেও রাতে তাঁরা চিতাবাঘ-সহ খাঁচা ছাড়েননি। নিমতির রেঞ্জ অফিসার ভবেন ঋষি জানান, সকালে বিট অফিসার অনেক বুঝিয়েছেন সরকারি ভাবে ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে গেলে আবেদন করতে হয়। সেই আবেদনপত্র দেওয়া হয়েছে গ্রামবাসীদের। পরে চিতাবাঘটিকে নিয়ে জঙ্গলে ছাড়া হয়।