প্রতীকী ছবি।
ভুয়ো চিকিৎসক কাণ্ডে আলিপুরদুয়ারের মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিককে দেড় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করল সিআইডির বিশেষ দল।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত চলে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করে সিআইডির দলটি। মাস দেড়েক আগে মধ্যরাঙালিবাজনার শিশুবাড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক খুশিনাথ হালদারকে গ্রেফতার করে সিআইডি। জানা গিয়েছে ওই চিকিৎসকের এমবিবিএসের শংসাপত্রটি জাল। তদন্ত নিয়ে মুখ খুলতে চাননি সিআইডি আধিকারিকরা। তবে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মা বলেন, ‘‘সিআইডি যা জানতে চেয়েছে বলেছি।’’
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারে কাজে যোগ দেওয়ার আগে ওই ভুয়ো চিকিৎসক বেশ কয়েক বছর জলপাইগুড়ি জেলায় কাজ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ হওয়ায় জলপাইগুড়ির কাজ ছেড়ে দেন। ২০১৬ সালে আলিপুরদুয়ারে কাজে যোগ দেওয়ার সময় খুশিনাথ মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছিল তাঁর শংসাপত্রটি হারিয়ে গিয়েছে।
কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় বেশ কয়েক জন ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে যে তিন ভুয়ো চিকিৎসক সরকারি হাসপাতালে কাজ করতেন, খুশিনাথ তাদের একজন। সিআইডির আধিকারিকরা জানান, খুশিনাথ কোথাও কাজে যোগ দিলে প্রথমেই নানা কায়দায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মন জয়ের চেষ্টা করত। এক সরকারি চিকিৎসকের পরিচয়, দুই সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার এর জেরে়ই কেউ আর তাকে সন্দেহ করত না। এই সুযোগেই ওই ভুয়ো চিকিৎসক তার কর্মকাণ্ড চালাত।
আলিপুরদুয়ারের পাঁচকেলগুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও বছর কয়েক আগে কাজ করেছিল খুশিনাথ। সেখানেও গিয়েছিল সিআইডি। বাসিন্দারা জানান, কোনও দিনই ভুয়ো ডাক্তার বলে মনে হয়নি খুশিনাথকে। এ দিন আলিপুরদুয়ারে তদন্তের প্রথম পর্যায়ের কাজ সেরে সিআইডি নাগরাকাটায় যায়। জলপাইগুড়ি মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরেও যাওয়ার কথা তাঁদের।