জমির আশ্বাস পেয়ে উচ্ছ্বাস

 জেলায় সভা করে দ্রুত জমি সমস্যার পূর্ণাঙ্গ সমাধানের আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারের উত্তর পারোকাটায় সরকারি সভায় প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ৮১ জনের হাতে জমির লিজ পাট্টা তুলে দেন তিনি। বাকিদেরও দ্রুত লিজ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেন তিনি।

Advertisement

নারায়ণ দে ও রাজু সাহা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৩৮
Share:

জেলায় সভা করে দ্রুত জমি সমস্যার পূর্ণাঙ্গ সমাধানের আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারের উত্তর পারোকাটায় সরকারি সভায় প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ৮১ জনের হাতে জমির লিজ পাট্টা তুলে দেন তিনি। বাকিদেরও দ্রুত লিজ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘জমি নিয়ে বড় সমস্যায় ভুগছিলেন ওঁরা। দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করলেও তাদের জমির অধিকার ছিল না। সমস্যার কথা জানতে পেরেই তা মিটিয়ে দেওয়া হল।’’

Advertisement

১৯৭০ সালের জমির মূল্য ধরে এককালীন সেলামি এবং বার্ষিক রাজস্ব ধার্য করে জমির লিজ পাট্টা দেওয়া হবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। এ দিনের উপহারে খুশি আলিপুরদুয়ার। এমনকী বিরোধীরাও স্বাগত জানিয়েছেন সিদ্ধান্তকে। এ দিন ২৩১ জন বনবস্তিবাসীকে জমির অধিকার প্রদান করা হয়। ২০৫ জন উদ্বাস্তুকে জমির দলিল দেওয়া হয়। এ ছাড়াও এ দিন মোট ৫৭ টি প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৫ টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ৩২ টি প্রকল্পের শিলান্যাসও হয়।

২০১৪ সালের ২৫ জুন আলিপুরদুয়ারকে নুতন জেলা ঘোষনা করেন তিনি। জেলার তৃতীয় বর্ষপূর্তির পাঁচ মাস আগে, মুখ্যমন্ত্রী ঘোষিত একগুচ্ছ প্রকল্প প্রাক জন্মদিনের উপহার বলেই দাবি তৃণমূলের। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আঠাশ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস টার্মিনাস তৈরি। মঞ্চ থেকে জমির পাট্টা বিলি, ব্লু হোমস্টে, গতিধারা প্রকল্পে গাড়ি ও শিশুদের জন্য গাছ বিতরণ করেন তিনি।

Advertisement

জমি সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় আলিপুরদুয়ার শহর জুড়ে খুশির হাওয়া। এ দিন বিকেলে উচ্ছাসও দেখিয়েছেন বাসিন্দারা। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার জেলা শহরে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর থেকে বাসিন্দারা জানতে পেরেছিলেন ২০১২ সালের জমির সেলামি টাকা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। বাসিন্দারা দাবি জানিয়ে আসছিলেন পুরনো নিয়মেই সেলামি নেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রী তাও মেনে নিয়েছেন। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বরঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘পুরনো নিয়মে সেলামি নেওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানাই। তবে বাসিন্দারা জমির রায়তি স্বত্ব দাবি করছে। লিজের নিয়মে বাসিন্দারা ৯৯ বছরের লিজ পাবেন। ব্যবসায়ীরা পাবেন ৩৩ বছর। আমরা জমির মালিকানা চাইছি।’’ আরএসপির প্রাক্তন বিধায়ক নির্মল দাস জানান, ‘‘বাম আমলে মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা যে নিয়মে জমি লিজ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সেই কাজই করলেন। রেজ্জাক মোল্লা এখন শাসক দলের মন্ত্রী।’’

আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌর‍ভ চক্রবর্তীও জমি সমস্যা সমাধানের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন। সৌরভবাবু জানিয়েছেন, এর জন্য শহরে মিষ্টি বিলি করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন