ছবি: প্রতীকী
শিবলিঙ্গের উপর থেকে পা পিছলে পাশে থাকা লোহার ত্রিশূলের উপর পড়ে মৃত্যু হল চার বছরের এক শিশুর। মৃত বীনেশ সরকারের বাড়ি ইটাহারের পতিরাজপুরের ধামদোলে। সোমবার রাতে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিত্সাধীন অবস্থায় ওই শিশুটির মৃত্যু হয়। ত্রিশূল বীনেশের বুকে গেঁথে গিয়েছিল। ইটাহার থানার ওসি নিমশেরিং ভুটিয়া বলেন, ‘‘শিবলিঙ্গে উঠে খেলার সময়ে আচমকা পড়ে গিয়ে বুকে ত্রিশূল গেঁথে শিশু মারা গিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।’’ মঙ্গলবার বীনেশের দেহের ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে।
বীনেশের বাবা পথিক পেশায় চাষি। মা আশারানিও স্বামীর সঙ্গে চাষবাষ করেন। তাঁদের দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে বীনেশ মেজ ছেলে ছিল। তাঁদের বাড়ি থেকে ৫০ মিটার দূরে কয়েক বছর আগে বাসিন্দারা প্রায় চারফুট উঁচু একটি সিমেন্টের শিবলিঙ্গ তৈরি করে দু’বেলা পুজোর্চনা শুরু করেন। ওই শিবলিঙ্গের গা ঘেঁষে বসানো রয়েছে প্রায় তিন ফুট উঁচু একটি ধারালো লোহার ত্রিশূল। শিবলিঙ্গ চত্বরের চারিদিকে ঘেরা দেওয়া না থাকায় দিনভর সেটির আশেপাশে শিশুরা খেলাধূলা করে।
পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারের লোকেদের অলক্ষ্যে সোমবার বিকালে বীনেশ ওই শিবলিঙ্গের উপরে উঠে খেলছিল। সেই সময়ই কোনও কারণে পা পিছলে সে উপুর হয়ে ত্রিশূলের উপরে গিয়ে পড়ে। ত্রিশূলের মাঝের সূচালো বড় ফলাটি গেঁথে যায় তার বুকে। কান্না শুনে আশা ঘটনাস্থলে গিয়ে বীনেশকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। তাকে ইটাহার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিত্সাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বীনেশের দাদু হিরণ সরকার বলেন, ‘‘নাতির এ ভাবে মৃত্যু হবে, আমরা কল্পনাই করতে পারছি না।’’ বাসিন্দা ক্ষীতিশচন্দ্র সরকারের বক্তব্য, ‘‘এই মৃত্যুর ঘটনায় অামরা হতভম্ব।’’ এই ধরণের দুর্ঘটনা রুখতে শিবলিঙ্গ চত্বরের চারিদিক বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।