বিভ্রান্তি: দু’টি আধার কার্ড হাতে আয়ান আলি। নিজস্ব চিত্র
একই নাম। ছবিও হুবহু এক। বাবার নাম, ঠিকানাও তাই। অথচ আধার কার্ড দু’টি। নম্বরও আলাদা। এক জন শিশুর এমনই জোড়া আধার কার্ড নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তার অভিভাবকেরা। কোন কার্ডটি ব্যবহার করবেন তা নিয়ে পরামর্শ চেয়ে ফেসবুক পোস্টও দিয়েছেন শিশুর আত্মীয়। তুফানগঞ্জ মহকুমার চিলাখানা ২ পঞ্চায়েতের ঘোগারকুঠি এলাকার ঘটনা।
আয়ান আলির বয়স চার বছর। তার পরিবারের লোকদের দাবি, ফেব্রুয়ারি মাসে পঞ্চায়েত দফতর চত্বরে প্রশাসনের উদ্যোগে শিশুদের আধার কার্ড তৈরির শিবির হয়। বাবা আজগর আলি আর কাকা আখতার আলির সঙ্গে সবুজ জামা গায়ে সেজেগুজে আয়ান গিয়েছিল ছবি তুলতে। মঙ্গলবার উত্তর ঘোগারকুঠি ডাকঘর থেকে তাঁরা দু’টি আলাদা খাম পান। দু’টি খামে আয়ানের দু’টি আধার কার্ড দেখে চমকে যান তাঁরা। প্রথমে ভেবেছিলেন ভুল করে দু’বার একই কার্ড প্রিন্ট হওয়ায় জোড়া কার্ড এসেছে। কিন্তু আখতার বলেন, “ভাল করে দেখার পর বিভ্রান্তি বেড়ে যায়। নাম, ছবি, ঠিকানা এক হলেও নম্বর আলাদা। সমস্যার কথা ফেসবুকেও লিখেছি।” আখতারের ফেসবুক পোস্টে এক জন এই ঘটনাকে কটাক্ষ করে কমেন্টও করেন, ‘দাদা ডিজিটাল ইন্ডিয়া, এখানে সব কিছুই সম্ভব...’।
বিষয়টি জানাজানি হতেই প্রশাসনের অন্দরেও তোলপাড় শুরু হয়েছে। কী করে ‘বায়োমেট্রিক’ পদ্ধতিতে এক জনের দু’টি কার্ড তৈরি সম্ভব সেই প্রশ্ন উঠছে। কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “এমনটা হওয়া উচিত নয়। দেখছি।” তুফানগঞ্জের মহকুমাশাসক মণীশ বর্মা জানিয়েছেন, তাঁদের জানানো হলে দু’টি কার্ডই আসল কিনা তা যাচাই করা হবে। তার পর পদক্ষেপ করা হবে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, জনগণনা দফতরের তালিকা মেনে আধার কার্ড তৈরি হয়। একজনের দু’টি কার্ড যাতে না হয়ে যায় সে জন্য ‘ই ডুপ্লিকেশন সফ্যটওয়্যার’ ব্যবহার করা হয়। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘কোনও ভাবে ডেটাবেসে দু’বার এক নাম এন্ট্রি হওয়াতে সমস্যা হল কিনা তাও দেখা দরকার।’’