সঙ্গীতার সঙ্গীদের খোঁজ

জিম পার্লারের কর্মী সঙ্গীতা কুণ্ডু অপহরণের মামলায় ধৃতেরা অগস্ট মাসে ঠিক কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন, তা ফের খতিয়ে দেখা শুরু করল সিআইডি-র তদন্তকারী দল। সিআইডি সূত্রের খবর, রবিবার ভবানী ভবনের গোয়েন্দাদের একটি দল বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর নেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৫৯
Share:

জিম পার্লারের কর্মী সঙ্গীতা কুণ্ডু অপহরণের মামলায় ধৃতেরা অগস্ট মাসে ঠিক কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন, তা ফের খতিয়ে দেখা শুরু করল সিআইডি-র তদন্তকারী দল। সিআইডি সূত্রের খবর, রবিবার ভবানী ভবনের গোয়েন্দাদের একটি দল বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর নেন। ওই দলের সদস্যদের আগামী এক দু’দিনের মধ্যে শিলিগুড়ি আসার কথাও হয়েছে। পাশাপাশি, নিখোঁজ হওয়ার আগে, ১১ অগস্ট থেকে ১৫ অগস্টের মধ্যে সঙ্গীতার গতিবিধি ঠিক কী ছিল, তা ফের জানার চেষ্টা শুরু হয়েছে। সেই জন্য জিম পার্লারের সংস্থার বিভিন্ন দফতর, শাখার সিসিটিভির ফুটেজও সংগ্রহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মামলায় সংস্থার কর্ণধার পরিমল সরকার-সহ পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গত শনিবার ছেলের বিয়ের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন একজন। ধৃতরা অবশ্য সঙ্গীতার নিখোঁজ হওয়ার মামলার সঙ্গে তাদের কোনও যোগাযোগ নেই বলে জেরা বারবারই তদন্তকারীদের জানিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

Advertisement

সিআইডি সূত্রের খবর, ১৭ অগস্টের আগে শিলিগুড়ির কোনও এলাকায় বা বাইরে সঙ্গীতা সশরীরে কোথায় গিয়েছিলেন কি না, তা দেখা হচ্ছে। তাঁর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনগুলি দেখে কলকাতা, মালদহ, কালিয়াচক, ফরাক্কা-র মতো কিছু এলাকা চিহ্নিত আগেই হয়েছে। সেখানে তাঁর মোবাইলটি অন্যের হাত ধরে কোনও ভাবে গিয়েছিল না, সঙ্গীতাও সেখানে ছিলেন, তা বার করার চেষ্টা চলছে। তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থার এক অফিসার জানান, সংস্থার বিভিন্ন শাখার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেগুলি যেমন দেখা হচ্ছে, তেমনই ধৃতদের ওই সময়ের গতিবিধিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সঙ্গীতা থাকতেন পরিমলের দেওয়া সেবক রোড এলাকার একটি ফ্ল্যাটে। সেখানে নাচের স্কুলও তিনি দেখাশোনা করতেন। ওই ফ্ল্যাট থেকে গত ১৭ অগস্ট সঙ্গীতা নিখোঁজ হয়ে যায় বলে অভিযোগ। কয়েক দিন পর পরিমলববাবু প্রথমে মিসিং ডায়েরি করেন। পরে ৫ সেপ্টেম্বর সঙ্গীতার পরিবারের তরফে মা অঞ্জলিদেবী এবং দাদা শম্ভুবাবু জিম-পার্লারের মালিক পরিমল সরকারের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের একাংশ তদন্ত ধামাচাপা দিতে উদ্যোগী হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ছবিও ছিল সংস্থার কর্ণধারের। প্রভাবশালী অভিযোগ ওঠার পরে ছবিগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়। আন্দোলনও শুরু হয় শিলিগুড়িতে। চাপে পড়ে পুলিশ এই মামলা বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে। পরে গোয়েন্দা দফতরের হাত ঘুরে মামলা বর্তমানে সিআইডির হাতে।

Advertisement

তদন্তে নেমে গত সপ্তাহে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, সঙ্গীতা নিখোঁজের পর মোবাইল শিলিগুড়ি থেকে বাইরে পাঠানো হয়েছিল। এই কাজে ধৃতদের একজনকে ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement