ভর্ৎসনা শুনে ক্ষুব্ধ সিভিক ভলান্টিয়াররা

বৃহস্পতিবার দুপুরে ছটপুজোর জন্য শহরের বিভিন্ন নদীঘাটে আইনশৃঙ্খলার কাজে নিযুক্ত ৬০ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে দায়িত্ব বোঝানোর সময় তাঁদের ভর্ৎসনা ও সতর্ক করেন মহাকাশবাবু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৭ ০২:২২
Share:

প্রতীকী ছবি।

কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে রায়গঞ্জ থানায় কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের একাংশকে প্রকাশ্যেই ভর্ৎসনা করে তাঁদের সতর্ক করলেন রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি মহাকাশ চৌধুরী।

Advertisement

বৃহস্পতিবার দুপুরে ছটপুজোর জন্য শহরের বিভিন্ন নদীঘাটে আইনশৃঙ্খলার কাজে নিযুক্ত ৬০ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে দায়িত্ব বোঝানোর সময় তাঁদের ভর্ৎসনা ও সতর্ক করেন মহাকাশবাবু। আইসিকে বলতে শোনা যায়, এরপরে কোনও সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজে গাফিলতির ধরা পড়লে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাঁরা ভাল কাজ করবেন পুলিশ তাঁদের বিশেষ সম্মান দেবে। পরে মহাকাশবাবু দাবি করেন, কালীপুজো ও দীপাবলি উত্সবের সময়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের একাংশের কর্তব্যে গাফিলতি ধরা পড়েছে। সিভিক ভলান্টিয়াররা ছাড়া শুধু পুলিশের পক্ষে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব নয়। ছটপুজোর দু’দিন শহরের খরমুজাঘাট, বন্দরঘাট, সুভাষগঞ্জ, শক্তিনগর ও মিলনপাড়া সহ বিভিন্ন ঘাটে সিভিক ভলান্টিয়াররা ঠিকমতো নজরদারি না চালালে দুর্ঘটনা ও অন্য সমাজবিরোধী কার্যকলাপের আশঙ্কা রয়েছে। তাই এ দিন সিভিক ভলান্টিয়ারদের সতর্ক করা হল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছ্বুক কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ারের দাবি, হাতেগোনা কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার ছাড়া রায়গঞ্জ থানায় কর্মরত সকলেই সরকারি নিয়ম মেনে কাজ করেন। কয়েকজনের জন্য সবাইকে কথা শুনতে হচ্ছে। আইসি অভিযুক্তদের আলাদা করে ডেকে সতর্ক করতে পারতেন। সিভিক ভলান্টিয়ারদের একাংশের পাল্টা অভিযোগ, থানার পুলিশ কর্মীদের অনেকেই তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘পুলিশ কর্মীদের মানসিকতায় পরিবর্তন না আসলে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে উত্সাহ বাড়া সম্ভব নয়।’’

Advertisement

আইসি মহাকাশবাবুর বক্তব্য, ‘‘সিভিক ভলান্টিয়াররা পুলিশের সহকর্মী। তাই তাঁদের সঙ্গে পুলিশকর্মীরা যাতে ভাল ব্যবহার করেন, সেটাও দেখছি।’’

রায়গঞ্জ থানায় আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে নিযু্ক্ত চারশোরও বেশি সিভিক ভলান্টিয়ার। মহাকাশবাবু জানান, সিভিক ভলান্টিয়ারদের একাংশ দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম না পরে রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন সময়ে তাঁদের একাংশ ডিউটি চলাকালীন বসে সময় কাটান বা ডিউটি শেষ হওয়ার আগেই বাড়ি ফিরে যান। অনেকে নিয়মিত কাজে আসেন না।

কালীপুজো ও দীপাবলি উত্সব চলাকালীন আইনশৃঙ্খলা ও যানজট স্বাভাবিক রাখার কাজে নিযুক্ত বহু সিভিক ভলান্টিয়ারকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ডিউটি চলাকালীন রাস্তার ধারে চেয়ারে বসে মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা গিয়েছে। আইসি বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে যাতে এসব আর না হয়, তার জন্য সমস্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকেই সতর্ক করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন