ছবি: সংগৃহীত।
লোকসভা ভোটের পর থেকে কোচবিহারে সংঘর্ষ ও হিংসা থামতেই চাইছে না। বিশেষ করে তুফানগঞ্জ এলাকা এতটাই উত্তপ্ত হয়ে থাকছে যে বাড়ির বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকেরা। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত কয়েক ঘণ্টা ধরে ফের তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ দেখল স্থানীয় মানুষ। এলাকাটি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিধানসভার অন্তর্গত। তিনি অভিযোগ করেছেন, তৃণমূল কর্মীকে নিশানা করে বারবার হামলা চালিয়েছে বিজেপি, খুনের ছক করেছে সেই কর্মীকে। এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি পাল্টা বলেছে, দিদিকে বলো কর্মসূচির মাধ্যমে আসলে তাদের দলের লোকজনকে খুনের ছক কষছে তৃণমূল। পুলিশ জানায় মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। সেই অভিযোগকে আবার ‘নোংরা রাজনীতি’ বলে দেগে দিয়েছেন মন্ত্রী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে মন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র নাটাবাড়ির চিলাখানায় তৃণমূলের একটি মিছিলের পরে গোলমাল বাধে। মন্ত্রীর অভিযোগ, ‘‘ওই দিন তৃণমূল কর্মী বক্কর মিয়াঁকে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টা করে বিজেপি। বক্কর বাঁচলেও অন্য আর এক জন জখম হয়েছেন। বুধবার সকালে অন্য তৃণমূল কর্মী মজিদুল হকের দোকান ভাঙচুর করা হয়।’’ মন্ত্রী জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় কোচবিহার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মজিদুল। মন্ত্রী বিজেপি বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন। তিনি দাবি করেন, তুফানগঞ্জ মহাকুমায় অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্সের প্রয়োজন।
বিজেপির নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক পুষ্পেণ সরকার পাল্টা অভিযোগ করেন, ‘‘দিদিকে বলো কর্মসূচির নামে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী চিলাখানায় দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার রাতে গুন্ডা দিয়ে আমাদের কর্মীকে খুনের পরিকল্পনা করেন। আমাদের কর্মী সুজিত সরকারকে ছুরি মারা হয় মঙ্গলবার রাতে। তিনি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন।’’ তিনি জানান, নোংরা রাজনীতি করছেন মন্ত্রী। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ছালাপাক এলাকায় মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বোমা উদ্ধার করে।
তুফানগঞ্জ মহকুমার এসডিপিও জ্যাম ইয়াং জিম্বা জানান, মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। কোনও ঘটনায় এখনও অভিযোগ হয়নি। নাটাবাড়ি এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তুফানগঞ্জ পুলিশ জানায়, বোমার খবর পেয়ে সেখানে গেলে কিছুই মেলেনি।