TMC

সালিশি সভায় জমি বিবাদ মেটাতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  দুই ভাই একরাম ও সাজলু নাদাবের জমি নিয়ে বিবাদের মীমাংসা করতে গ্রামে সালিশি বসানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২১ ২২:০২
Share:

নিজস্ব চিত্র।

সালিশি সভায় দুই ভাইয়ের জমি বিবাদের মীমাংসা করতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল। চলল ব্যাপক বোমাবাজি ও গুলির লড়াই। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হল তৃণমূলকর্মীদের। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের মোট ৭ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হাজির হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। মালদহের ইংরেজবাজার থানার নতুন নঘরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিনভর উত্তপ্ত হয়ে রইল এলাকা। বসানো হল পুলিশ পিকেট। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই ভাই একরাম ও সাজলু নাদাবের জমি নিয়ে বিবাদের মীমাংসা করতে গ্রামে সালিশি বসানো হয়। এই সালিশিতে ফুলবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলেপ রুহিমা বিবির স্বামী জাইরুল শেখ, তাঁর দাদা দাউদ শেখ-সহ অনেকে যান এক ভাইয়ের পক্ষ নিতে। অন্য ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে ফুলবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যার স্বামী লাকি নাদাব ও তাঁর দলবল সালিশিতে অংশ নেয়। এর পরেই দুই ভাইয়ের জমির বিবাদ মীমাংসা করতে গিয়ে তৃণমূলের ওই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা বেধে যায়। শুরু হয় সংঘর্ষ। একে অপরকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমাবাজি শুরু হয়। পঞ্চায়েত প্রধানের ভাসুর দাউদ শেখকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ।

লাকি নাদাব জানান, পারিবারিক জমির বণ্টন নিয়ে সমস্যা ছিল দুই ভাইয়ের মধ্যে। বিবাদ মেটাতে সালিশিতে এক ভাইকে জমি কিনে নিতে বলা হয়। ৮০ হাজার টাকা মূল্যও ধার্য্য হয় সালিশিতে। কিন্তু প্রধানের স্বামী ও তাঁর দলবল সিদ্ধান্ত মেনে না নিয়ে গোলমাল শুরু করে। গুলি ও বোমাবাজি করতে শুরু করে। যদিও জাইদুল শেখ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘লাকি নাদাবের নেতৃত্বেই এলাকায় গুলি ও বোমাবাজি হয়। দাউদ শেখকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করে।’’

Advertisement

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দেয়। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। আহতদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

আরও পড়ুন: ভোটের আগে রদবদল তৃণমূল ছাত্র পরিষদে

আরও পড়ুন: করোনা টিকার আবাহনের দিন বিয়োগ বিসর্জন মনে পড়ছে ওঁদের

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন