গ্রামবাসী-বিএসএফ সংঘর্ষ তুফানগঞ্জে, গুলিবিদ্ধ এক যুবক

বিএসএফ ও গ্রামবাসীদের একাংশের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল তুফানগঞ্জের চর বালাভূতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে গোলমালের জেরে মামুদ আলি নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর বাড়িও চর বালাভূত এলাকাতেই। প্রথমে ওই যুবককে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:১০
Share:

বিএসএফ ও গ্রামবাসীদের একাংশের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল তুফানগঞ্জের চর বালাভূতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে গোলমালের জেরে মামুদ আলি নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর বাড়িও চর বালাভূত এলাকাতেই। প্রথমে ওই যুবককে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

Advertisement

পরে তাকে কোচবিহার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সংঘর্ষে জখম হয়েছেন বিএসএফের দুই জওয়ান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ কর্তারা। রাতেই বালাভূতে যান তুফানগঞ্জের মহকুমা শাসক মণীশ ভার্মাও। কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তুফানগঞ্জের মহকুমা শাসকও বিষয়টি দেখছেন।” কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, ‘‘কিছু গ্রামবাসীদের সঙ্গে বাদানুবাদ থেকে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ ওই
এলাকায় গিয়েছে।’’ বাসিন্দাদের অভিযোগ, এ দিন রাত ৮টা নাগাদ চর বালাভূত এলাকায় এক ব্যক্তি টিন কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই ব্যাক্তিকে তল্লাশির নামে হয়রানির অভিযোগকে কেন্দ্র করে বাদানুবাদ শুরু হয়। মূহূর্তের মধ্যে তেতে ওঠে এলাকা। গ্রামবাসীদের কয়েকজন জানান, তল্লাশির নামে মাঝেমধ্যেই তাদের হয়রান করা হয়। এদিনও বাসিন্দারা হয়রানির মুখে পড়েন। স্থানীয় এক বাসিন্দা ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাকেও আমল দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে বিএসএফ সূত্রের দাবি, পরিচয় পত্র ও বৈধ কাগজপত্র দেখিয়ে টিন নিতে যেতে আপত্তি করা নিয়ে বাদানুবাদ হয়। তার জেরেই পরিকল্পিতভাবে জওয়ানদের ওপর হামলা চালান হয়। প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, দু’পক্ষের বক্তব্য নিয়েই খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

তুফানগঞ্জের মহকুমা শাসক মণীশ ভার্মা বলেন, “দু’পক্ষের গোলমালের জেরে এক যুবক ছাড়া বিএসএফের দু’জন জখম হয়েছেন। বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছি।” তুফানগঞ্জের বিধায়ক ফজল করিম মিঁয়া বলেন, “বাসিন্দাদের সঙ্গে বাদানুবাদ থেকে গোলমালের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে শুনেছি। বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় খোঁজ নিতে যাব।” বিএসএফের একটি সূত্রে অবশ্য দাবি করা হয়, ওই এলাকায় গরু পাচারে জড়িতরা কড়াকড়ির জেরে বিপাকে পড়েছে। ওই গোলমালের সঙ্গে পাচারকারীদের কোন চক্রের যোগসাজস রয়েছে কিনা সে সবও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement