বুলেটপ্রুফ কাচ সার্কিট বেঞ্চের ঘরে

আবাসনের সামনে দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিস্তা নদী। পিছন দিক দিয়ে করলা নদী। দুই নদীর মাঝখানে ত্রিকোণাকৃতির সংযোগস্থলে বাঁধের উপরে পেশাদারি শৈলীতে তৈরি বাংলোই হাইকোর্টের বিচারপতিদের আবাসন।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৮ ১১:৫৮
Share:

বিচারপতিদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চায় না প্রশাসন। জলপাইগুড়িতে কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতিদের অস্থায়ী আবাসনে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা, নিরাপত্তারক্ষীরা তো থাকছেই। সেই সঙ্গে আবাসনের জানলায় বসানো হবে বুলেটপ্রুফ কাচ।

Advertisement

আবাসনের সামনে দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিস্তা নদী। পিছন দিক দিয়ে করলা নদী। দুই নদীর মাঝখানে ত্রিকোণাকৃতির সংযোগস্থলে বাঁধের উপরে পেশাদারি শৈলীতে তৈরি বাংলোই হাইকোর্টের বিচারপতিদের আবাসন। দু’জন বিচারপতি থাকতে পারবেন বাংলোয়। এ জন্য দু’টি পৃথক প্রবেশপথ তৈরি হচ্ছে। সার্কিট বেঞ্চের কাজ চালুর জন্য অস্থায়ী ভাবে নানা পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। তিস্তা ভবন এবং সার্কিট হাউসের সম্প্রসারিত অংশে বিচারপতিদের অস্থায়ী আবাসন গড়ে তোলা হয়েছে। তার সঙ্গে জুড়ছে জলপাইগুড়ির জুবিলি পার্কের বাংলোটিও। বিচারপতিদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সেই বাংলোও বুলেট প্রতিরোধক কাচ দিয়ে মুড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গত মাসে হাইকোর্টের প্রতিনিধি দল সার্কিট বেঞ্চের নানা পরিকাঠামো পরিদর্শন করেন। সেই সময় রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব জুবিলি পার্কের বাংলোটি দেখিয়েছিলেন হাইকোর্টের প্রতিনিধি দলকে। প্রশাসন সূত্রের খবর, বাংলোটি পছন্দ হয় তাঁদের। তার পরেই বিচারপতিদের থাকার মতো উপযুক্ত করে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। পর্যটন মন্ত্রী গৌতমবাবু বলেন, “পরিকাঠামো তৈরিতে কোনও ঘাটতি থাকবে না। দ্রুত সমস্ত কাজ সেরে ফেলাও হবে।”

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, সার্কিট হাউসের সম্প্রসারিত অংশটি বিচারপতিদের থাকার জন্য ব্যবহার করার সম্ভাবনা কম। সার্কিট হাউসের মতো জায়গা যেখানে সব সময় ব্যস্ততা লেগেই রয়েছে, সেখানে বিচারপতিদের থাকার মতো নিভৃত পরিসর কম। সেই কারণেই বিকল্প ভাবনাচিন্তা শুরু হয়।

বিচারপতিদের আবাসনে সব সময়ের জন্য নিরাপত্তা কর্মী থাকেন। তার পরেও কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় প্রশাসন। স্থির হয়েছে, জুবিলি পার্কের বাংলো এবং তিস্তা ভবন বুলেটপ্রুফ কাচ দিয়ে মুড়ে দেওয়া হবে। বাইরে থেকে যাতে বাংলোর ভিতর নজরদারি করা না যায় সেজন্য মোটা পর্দা দিয়ে ঢাকা হবে চারপাশ। সেজন্য অবশ্য ভেতরের খোলামেলা পরিবেশ নষ্ট হবে না বলে দাবি প্রশাসনের। জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরই বিচারপতিদের আবাসন সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন