খামে কার নাম, জানা যাবে আজ

কারও জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন সমর্থকরা। কারও জন্য আবার নেতাদের কাছে দরবার করেছেন তাঁদের অনুগামীরা।

Advertisement

অরিন্দম সাহা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

কারও জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন সমর্থকরা। কারও জন্য আবার নেতাদের কাছে দরবার করেছেন তাঁদের অনুগামীরা। পছন্দের প্রার্থীর নাম আবার রাজ্য নেতৃত্বের কাছেও সুপারিশ করেন নেতাদের একাংশ। সশরীরে কলকাতা গিয়ে দরবার করে এসেছেন কয়েকজন সদস্যও। সকলের পাখির চোখ একটাই, ‘সভাধিপতির চেয়ার’।

Advertisement

তৃণমূলের অন্দরের খবর, সভাধিপতি পদের দাবিদার হিসেবে একাধিক নাম নিয়ে জল্পনা ঘিরে ব্যাপক চাপানউতোর রয়েছে। আজ শুক্রবার ওই জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন হবে। সেখানে বন্ধ খাম খুললে স্পষ্ট হবে কার ভাগ্যে শিঁকে ছিঁড়বে।

দলীয় সূত্রের খবর, সম্ভাব্য সভাধিপতি হিসেবে যাদের নাম নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে শেষ মুহূর্তে অন্যদের থেকে খানিকটা হলে এগিয়ে আছেন মাথাভাঙা ২ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি উমাকান্ত বর্মণ। এ ছাড়াও আলোচনায় উঠে আসে বিদায়ী সভাধিপতি পুষ্পিতা ডাকুয়া, দলের জেলা সহ সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদ, জগদীশ বর্মণ, পঙ্কজ ঘোষ, মির হুমায়ুন কবীর, শুচিস্মিতা দেবশর্মা, প্রমুখের নামও। তাঁদের মধ্যে জলিল আহমেদ, পুষ্পিতাদেবী ভোটের পর কলকাতায় যান। হুমায়ন কবীর, শুচিস্মিতাদের হয়ে সোস্যাল মিডিয়াতেও অনুগামীরা দাবি তোলেন। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘না আঁচালে রাজনীতিতে বিশ্বাস নেই। তা ছাড়া যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ। দেখাই যাক।’’

Advertisement

দলীয় সূত্রের খবর, রাজ্য নেতৃত্বের তরফে নাম চূড়ান্ত করে পাঠানো বন্ধ খাম বৈঠক শুরুর আধ ঘন্টা আগে জেলা পরিষদে নিয়ে যাওয়া হবে। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “রাজ্য নেতৃত্ব নাম ঠিক করবেন। বন্ধ সিল করা খামে নাম আসবে।” দলের অন্দরের খবর, উমাকান্তবাবুর হয়ে রাজ্য নেতাদের কাছে সবচেয়ে বেশি সওয়াল করেন বনমন্ত্রী বিনয় বর্মণ। মাথাভাঙার লতাপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতে দু’জনের বাড়িও। দলের এক নেতার কথায়, মাথাভাঙা থেকে সভাধিপতির পদ কেউ পাননি। তার উপর রাজবংশী ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই দাবি জোরাল হয়। শুরু থেকে বিদায়ী সভাধিপতি পুষ্পিতা ডাকুয়াও দাবির লড়াইয়ে আছেন। সহ সভাধিপতি পদ তফসিলি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকায় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও উমাকান্তবাবু মন্তব্য করতে চাননি। জলিল আহমেদ, পুষ্পিতাদেবীরাও এক সুরে বলেছেন, “দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।” মুখ খুলতে নারাজ শুচিস্মিতা, হুমায়ুন কবীর প্রমুখও।

দলের এক নেতার দাবি, ঘনিষ্ট মহলে দাবিদারদের মধ্যে ছেলে পঙ্কজের নাম নিয়ে জল্পনা ঠিক নয় বলে জানিয়েদেন রবিবাবু। তবু শেষ দৃশ্য যে বাকি!

প্রসঙ্গত, এ বার জেলা পরিষদের ৩৩টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের প্রতীকে ৩২ জন জয়ী হন। অন্যদিকে যুব তৃণমূলের সমর্থনে নির্দল হয়ে ভোটে জিতেছেন। পরে অবশ্য তিনি দলে যোগ দিয়েছেন। দলের কয়েক জন কর্মীর কথায়, যাঁর ভাগ্যেই শিকে ছিঁড়ুক না কেন ক্ষোভ-বিক্ষোভের আশঙ্কা থাকছেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন