বৃষ্টিভেজা: মায়ের কোলে। —নিজস্ব চিত্র
সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা আকাশ ছিল শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ির। সকাল কয়েক দফায় হালকা বৃষ্টিও হয়। তারপরেই নামতে শুরু করে দুই শহরের তাপমাত্রা। আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, আজ বৃহস্পতিবারও এরকমই আবহাওয়া থাকতে পারে দুই শহরে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসা আর্দ্র বাতাসের জন্য মেঘ সঞ্চার হচ্ছে হিমালয় এবং তার পাদদেশে। এই আবহাওয়া আগামী আরও একদিন থাকবে বলেই মনে করছি আমরা।’’
এ দিন শিলিগুড়িতে দুপুরের পরে একপশলা বৃষ্টি হয়। তারপরে বিকেলের তাপমাত্রা নেমে আসে ১৫ ডিগ্রির কাছাকাছি। মঙ্গলবারের চেয়ে যা প্রায় ৮ ডিগ্রি কম। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবারও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়ে যাচ্ছে পাহাড় এবং সংলগ্ন সমতলের কয়েকটি এলাকায়। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, শিলিগুড়িতে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এ দিন। কেবল শিলিগুড়ি নয় সিকিম ও দার্জিলিঙের উঁচু জায়গায় এ দিন দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে। তার জেরে শিলিগুড়িতেও ঠাণ্ডা বাতাস বয়েছে। শিলিগুড়ি সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার পাশে অল্প জলও জমেছিল বৃষ্টির কারণে। পুরসভার দাবি, মেঘলা আবহাওয়ার জন্য শহরের দূষণ গত কয়েকদিনের তুলনায় একটু বেড়ে গিয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে জলপাইগুড়ির আকাশও ছিল মেঘলা। দফায় দফায় হাল্কা বৃষ্টি হয়েছে। তবে দুপুরের দিকে মেঘের চাদর সরিয়ে দু’একবার উঁকি দিয়েছে রোদ। যদিও রোদের তেজ খুব বেশি ছিল না। জলপাইগুড়ির স্বাভাবিক জনজীবনেও বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে এ দিন। বিকেলের পরে তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই নেমেছে। জলপাইগুড়ি জেলা আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০.০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৫ শতাংশ এবং বিকেলে এই পরিমাণ ছিল ৫৬ শতাংশ। এ দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ১.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।