Madrasa Board Madhyamik Exam

কোচবিহারের হাই মাদ্রাসার সম্ভাব্য প্রথমকে ভর্তির ফর্ম দিল না স্কুল, পরে বদল সিদ্ধান্ত

অভিযোগ, যেহেতু মাদ্রাসা বোর্ডের পূর্ণমান ৮০০ এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পূর্ণমান ৭০০, তাই ফর্ম দেওয়া হচ্ছে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২১ ২৩:০৪
Share:

নিজস্ব চিত্র

মাদ্রাসা বোর্ডের দশম শ্রেণির পরীক্ষায় কোচবিহার জেলার সম্ভাব্য প্রথম হওয়া ছাত্রকে প্রথমে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ফর্মই দিচ্ছিল না সরকারি স্কুল। পরে খবর ছড়িয়ে পড়তেই সিদ্ধান্ত বদলালো স্কুল। দু’দিন ঘুরিয়ে শেষে স্কুলের তরফ থেকে জানানো হল, ফর্ম দেওয়া হবে মাদ্রাসার পড়ুয়াদের। তারপর শতাংশের বিচারে মেধাতালিকা প্রকাশ করে ভর্তি নেওয়া হবে।

Advertisement

মাদ্রাসা বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৭৮৯ নম্বর পেয়েছে কোচবিহার জেলার সম্ভাব্য প্রথম সবুজ আরপ। কিন্তু তাকে ভর্তির ফর্ম দিতে অস্বীকার করে কোচবিহারের গুঞ্জবাড়ি এলাকার রামভোলা হাইস্কুল। অভিযোগ ওঠে, শুধুমাত্র মাদ্রাসা বোর্ড থেকে পাস করেছে বলেই তাকে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না।

পড়ুয়ার অভিযোগ, সোমবার একাদশ শ্রেণির ভর্তির জন্য রামভোলা হাইস্কুলে ফর্ম নিতে যায় সে। সেই সময় স্কুলের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানানো হয়, মাদ্রাসা বোর্ডের কোনও ছাত্রকে ফর্ম দেওয়া হবে না। সবুজের পাশাপাশি বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে আরও বেশ কয়েকজন ছাত্র ফর্ম তুলতে গেলে তাদেরকেও ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফেডারেশনের শিক্ষকরা বুধবার রামভোলা হাইস্কুলে আসেন। তাঁদের সামনেও মাদ্রাসার ছাত্রদের ফেরায় স্কুল।

Advertisement

ঘটনার পর স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রতিবাদ জানান মাদ্রাসা বোর্ডের শিক্ষকরা। বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফেডারেশন জেলা সম্পাদক সোফিয়ানুর রেজা বলেন, ‘‘সোমবার থেকেই বহু ছাত্র ফোন মারফত অভিযোগ করেছিল, তাদের ভর্তির ফর্ম দেওয়া হচ্ছে না। তাই আমরা বিষয়টি দেখতে রামভোলা হাই স্কুলে এসেছি। বুধবারও ছাত্র-ছাত্রীদের ফর্ম দেওয়া হবে না বলে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়।’’ কেন দেওয়া হবে না ফর্ম? সোফিয়ানুরের অভিযোগ, যেহেতু মাদ্রাসা বোর্ডের পূর্ণমান ৮০০ এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পূর্ণমান ৭০০, তাই ফর্ম দেওয়া হচ্ছে না। যা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গৌতমকুমার দেবও স্বীকার করেছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেছেন, ‘‘এ ভাবে পড়ুয়াদের ভর্তি নিতে অসুবিধা হয়। অনেক সময় সর্বমোট নম্বরের বিষয়টি দেখেই অনেকে ভর্তি হতে চান। তাঁদের শতাংশের হিসাবের কথা বললেও তাঁরা বোঝেন না।’’

এই যুক্তির পাল্টা সোফিয়ানুর বলেন, ‘‘প্রধান শিক্ষকের দাবি অষৌক্তিক। ছাত্রদের শতাংশের বিচারে ভর্তি নেওয়াই রীতি, পূর্ণমান যতই হোক না কেন।’’ যদিও শেষে সমস্যার সমাধানের কথা ঘোষণা করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকই। বলেন, ‘‘শতাংশের বিচারের ভর্তি নেওয়া হবে। মাদ্রাসার পড়ুয়ারাও ফর্ম পাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন