সাবেক ছিটমহল এলাকায় সমীক্ষার অভিযোগ নিয়ে নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটিকে সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন। রবিবার দিনহাটার রিটার্নিং অফিসার তথা মহকুমা শাসক কৃষ্ণাভ ঘোষ ওই চিঠি পাঠান। তিনি বলেন, “নির্বাচন বিধি লাগু রয়েছে। এখন কোনও সমীক্ষা বা সেটির রিপোর্ট প্রকাশ করা হলে তা বেআইনি হবে। সে সব না করার জন্য সতর্ক করে নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটিকে চিঠি করা হয়েছে। তারপরেও কোনও ভাবে রিপোর্ট প্রকাশ হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এদিন সন্ধ্যায় নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত অবশ্য বলেন, “এখনও কোনও চিঠি পাইনি।” প্রশাসন সূত্রের খবর, চিঠির সঙ্গে ওই সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনামা কপিও পাঠান হয়েছে।
ওই কমিটির তরফে এদিন সাবেক ছিটমহল সংক্রান্ত সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশের কথা আগে বলা হয়েছিল। ওই ব্যাপারে নির্বাচন বিধিভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একযোগে সমীক্ষা ও সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ নিয়ে আপত্তি জানায়। এমনকি তাতে ভোটাররা প্রভাবিত হতে পারেন বলেও অভিযোগ ওঠে। ঘটনার জেরে শনিবার দিনহাটার রিটার্নিং অফিসার তথা মহকুমা শাসককে তদন্তের নির্দেশ দেন জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা কোচবিহারের জেলাশাসক। প্রশাসন সূত্রের খবর, সমীক্ষা চালানর কথা কমিটি কর্তারা অস্বীকার করেন। এমনকি রিপোর্ট প্রকাশের কোন প্রশ্ন ছিলনা বলে দাবি করা হয়। তারপরেও ওই চিঠি পাঠানো হয়।
দীপ্তিমানবাবু নিজেও রিপোর্ট প্রকাশের খবর ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “আমাদের কোন সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করার কথাই ছিল না। মিটিং হচ্ছে জেনে রাখুন। যা জানানোর সাংবাদিক বৈঠক করে জানাব।” যদিও বৃহস্পতিবার দীপ্তিমানবাবু নিজেই রবিবারের বৈঠকের পরে সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশের কথা জানান। বিষয়টি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায়। বাসিন্দাদের একাংশের অনুমান, তার জেরেই দীপ্তিমানবাবু সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশের ঝুঁকি নেননি।
সাবেক ছিটমহল এলাকায় সাড়ে ৯ হাজারের বেশি ভোটার রয়েছেন। ৫টি বিধানসভা এলাকায় তাঁদের নাম রয়েছে। ভোটারদের প্রভাবিত করতে ওই সমীক্ষার কাজ শুরু করা হয়েছে বলেও সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের একাংশের তরফেই অভিযোগ ওঠে। ওই ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলি সরব হয়। তদন্তে নামে প্রশাসন।