বৈঠক: মুখোমুখি গৌতম দেব ও সৌরভ চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র
শিলিগুড়ি পুরসভার উন্নয়নে ফের বৈষম্যের অভিযোগ আনলেন এসজেডিএ চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী। রবিবার পূর্ত দফতরের বাংলোয় এসজেডিএ চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী, পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব, বিভিন্ন ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলরদের এবং বরো চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠক করেন। শহরের উন্নয়নের রুপরেখা তৈরি করতে এই বৈঠক বলে জানানো হয়। বৈঠকে সৌরভবাবু শিলিগুড়ির উন্নয়নে প্রত্যেকটি ওয়ার্ড পরিদর্শনে যাবেন বলে জানান। পুর এলাকার উন্নয়নে পুর আইনের সমস্যা নেই। এসজেডিএ-র ক্ষমতা বলেই পুরসভার উন্নয়ন করবেন তাঁরা, বলে সৌরভবাবু দাবি করেন।
পুরসভার অনেক রাস্তা, ব্রিজ, পথবাতি রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের টাকায় সংস্কার হচ্ছে বা নতুন করে করা হচ্ছে। সেগুলির কাজ বা সংস্কার করতে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের অনুমতিই যথেষ্ঠ বলে তিনি মন্তব্য করেন। বর্তমান পুরবোর্ড শহরের উন্নয়নে ব্যর্থ বলেও সৌরভবাবু অভিযোগ করেন। মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ এনে তিনি জানান, রাজ্যের বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়েও সমস্ত ওয়ার্ডের উন্নয়ন করতে পারেনি বর্তমান পুরবোর্ড। অশোকবাবুকে যাঁরা সমর্থন করছেন, কেবল তাঁদের ওয়ার্ডেই উনি উন্নয়ন করেছেন বলে সৌরভবাবু অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, মেয়রের এই বিষম্যের বিরুদ্ধে কাউন্সিলররা অভিযোগ জানিয়েছেন। কাউন্সিলরদের পরিকল্পনাগুলি জেনে নিয়ে পর্যটন মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজন মতো এসজেডিএ শহরের উন্নয়ন করবে বলে তিনি এদিন বলেন।
পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব জানান, ‘‘পুর এলাকায় উন্নয়ন করতে পুরসভার অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এসজেডিএ তার ক্ষমতা বলে এলাকার উন্নয়ন করতে পারে।’’ বৈঠকে তৃণমূল কাউন্সিলররা যে পরিকল্পনা দিয়েছেন, তাতে পুরসভার অনেক নর্দমা, রাস্তা, ব্রিজ সংস্কার হবে বলে জানা গিয়েছে। ফুলেশ্বরী নদীর আবর্জনা সাফাইয়ের কাজও এসজেডিএ করবে বলে জানা গিয়েছে।
শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র অশোক ভট্টাচার্য জানান, ‘‘সমভাবে সব ওয়ার্ডেই উন্নয়নের কাজ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় পুরসভা এলাকায় কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট পুরসভার অনুমতি প্রয়োজন। কোথায় কী, কাজ করবে, সে ব্যাপারে কোন কথাই এসজেডিএ জানায়নি। উন্নয়নের নামে ওঁরা কেবল রাজনীতি করছেন।’’