নদীর পথরোধ, ক্ষোভ জয়ন্তীতে

জয়ন্তীতে বালা নদীর গতিপথ কার্যত বন্ধ করে ফেলা হয়েছে কংক্রিটের স্তূপ। প্রবল বর্ষণ হলে নদীর জল ঢুকতে পারে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে, ওই আশঙ্কা পরিবেশ প্রেমী সংগঠনগুলির। ঘটনায় ক্ষুদ্ধ আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতিও। জয়ন্তীর বাসিন্দাদের আশঙ্কা, ভারী বর্ষণের পর বালা নদীতে জল দাড়িয়ে গেলে নদী পারাপার করা সমস্যা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৬ ০২:১৫
Share:

কংক্রিটের স্তূপে ঢাকা পড়েছে বালা নদীর গতিপথ।—নিজস্ব চিত্র

জয়ন্তীতে বালা নদীর গতিপথ কার্যত বন্ধ করে ফেলা হয়েছে কংক্রিটের স্তূপ। প্রবল বর্ষণ হলে নদীর জল ঢুকতে পারে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে, ওই আশঙ্কা পরিবেশ প্রেমী সংগঠনগুলির। ঘটনায় ক্ষুদ্ধ আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতিও। জয়ন্তীর বাসিন্দাদের আশঙ্কা, ভারী বর্ষণের পর বালা নদীতে জল দাড়িয়ে গেলে নদী পারাপার করা সমস্যা হবে।

Advertisement

পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস তিনেক আগে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে বালা নদীর উপর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। সে জন্য বালা নদী পারাপার করার জন্য যে কংক্রিটের রাস্তা ছিল, তা প্রয়োজনে ভাঙতে হয়েছে। বিশাল পরিমাণ কংক্রিটের স্তূপ বক্সার জঙ্গলে ফেলা যায়নি, ফলে তা নদীর উপরেই স্তূপ করে রাখা হয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলার পূর্ত দফতর সড়ক বিভাগের কার্যনির্বাহী বাস্তুকার সুব্রত সরকার বলেন, “সেতু নির্মাণের জন্য কংক্রিটের রাস্তাটি ভাঙা হয়েছে ঠিকই, তবে নদীর জল বের হওয়ার জন্য রাস্তা রাখা হয়েছে।”

আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাবের চেয়ারম্যান অমল দত্ত বলেন, “বালা নদীর উপর যে ভাবে কংক্রিটের স্তূপ ফেলা হয়েছে, তা বিপদজনক। পাহাড়া বৃষ্টি হলে হড়পা বাণ আসে, তাতে যে ভাবে জল নামে তা ভয়ঙ্কর। নদীটি প্রায় ৪০ মিটার চওড়া। নদীর নীচের দিকে মাঝ খানে সামান্য জায়গা ছেড়ে ও বিশাল জায়গা জুড়ে ওই কংক্রিটের স্তূপ ফেলা হয়েছে। ফলে জল সেখানে বাঁধা পেয়ে জঙ্গলে ঢুকে যাবে।”

Advertisement

আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক তথা তৃণমূল জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “এত দিন বালা নদীর উপর সেতু ছিল না। কিন্তু পাকা রাস্তা ছিল নদীর উপর। তাতেও বর্ষাকালে ভারি বর্ষণে জয়ন্তীবাসী নদী পার হতে পারতেন না। সেখান রাজ্য সরকারের তরফে সেতু নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু যে ভাবে ভাঙা কংক্রিট নদীর বুকে রাখা হয়েছে, তা সমস্যার কারণ হতে পারে।’’ বর্ষায় ফের জয়ন্তীবাসী আলিপুরদুয়ার বা রাজাভাতখাওয়ায় আসতে সমস্যায় পড়তে পারেন। ওই কংক্রিট নদীর মাঝখান থেকে সরানোর কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি পাকা সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত যাতায়াতের জন্য বিকল্প হিসেবে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করার জন্য জেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে। জয়ন্তীর বাসিন্দা সঞ্জীব রায় বলেন, “জল বাড়লে নদী পারাপার করা জীবনের ঝুঁকি হয়ে দাড়াবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন