শিলিগুড়ি জেলা নিয়ে মত নিল কংগ্রেস

কংগ্রেসের উদ্যোগে নাগরিক কনভেনশন করে শিলিগুড়িকে আলাদা জেলা করার দাবি নিয়ে বাসিন্দাদের মত নেওয়া হল। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত ওই সভায় শিলিগুড়ি জেলা গঠনের যে প্রস্তাব নেওয়া হয় তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৭ ০২:১২
Share:

আলাপ: শিলিগুড়িকে পৃথক জেলা করার দাবিতে কংগ্রেেসর নাগরিক কনভেনশনে সোমেন মিত্র। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

কংগ্রেসের উদ্যোগে নাগরিক কনভেনশন করে শিলিগুড়িকে আলাদা জেলা করার দাবি নিয়ে বাসিন্দাদের মত নেওয়া হল। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত ওই সভায় শিলিগুড়ি জেলা গঠনের যে প্রস্তাব নেওয়া হয় তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন, ‘‘নাগরিক সভার প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। তা ছাড়া শীঘ্রই কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি বিস্তারিত জানানো হবে।’’

সভায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বা কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যরা আসতে পারেননি। তবে উপস্থিত ছিলেন সোমেন মিত্র। তিনি জানান, ভৌগলিক এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে শিলিগুড়ি গুরুত্বপূর্ণ শহর। আগেই এই শহরকে জেলা করা দরকার ছিল। তাঁর কথায়, ‘‘শিলিগুড়িকে জেলা করার দাবিকে সমর্থন করি বলে এই সভায় আসতে চেয়েছি। কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার জেলা হয়েছে। তা নিয়ে আমরা কোনও প্রশ্ন করতে চাইনি। শিলিগুড়িতে যে পরিকাঠামো রয়েছে তা জেলা হওয়ার পক্ষে উপযুক্ত।’’

Advertisement

কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে জানানো হয় শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আসতে পারেননি। প্রদীপবাবুর দিল্লিতে কাজে ব্যস্ততার জন্য আসতে পারেননি। এ দিন সভায় সোমেনবাবু ছাড়া ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ সর্দার আমজাদ আলি, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির প্রাক্তন অধ্যাপক মানস দাশগুপ্ত, শহরের প্রবীণ চিকিৎসক কৃষ্ণ চন্দ্র মিত্র-সহ অনেকেই। বৃহত্তর শিলিগুড়ি নাগরিক মঞ্চ, বিহারি কল্যাণমঞ্চ, সূর্যনগর সমাজ কল্যাণ সমিতির মতো বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা ছিলেন। নকশালবাড়ি, মাটিগাড়া, খড়িবাড়ি থেকেও অনেকে সভায় যোগ দেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement