প্রার্থনা: কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরে মুকুল রায়। নিজস্ব চিত্র
পুলিশ বলছে, অনুমতি ছিল না। তাই রাতেই মঞ্চ খুলে নিতে বলা হয়েছে বিজেপিকে। সেই মতো শুক্রবার রাতেই ভগ্নস্তূপে পরিণত হয়েছে সভামঞ্চটি। বিজেপি কিন্তু দাবি করছে, পুলিশই তা ভেঙে দিয়েছে। সেই সূত্র ধরে এ দিন বিজেপি নেতা মুকুল রায় রাসমেলার মাঠে ট্রাকের উপরে দাঁড়িয়ে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন এসপি, ডিএম-কে।
এই সভা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় শুক্রবারই। বিজেপির দাবি, অনুমতি না থাকার অভিযোগ তুলে রাতে রাসমেলার মাঠে তাদের মঞ্চটি ভেঙে দেয় পুলিশ। কোচবিহারের জেলা পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে অবশ্য বলেন, “পুলিশ কোনও মঞ্চ ভাঙেনি। বিনা অনুমতিতে ওই মঞ্চ তৈরি করা হয়। পরে ওই দলের লোকজন মঞ্চ ভেঙে নিয়ে যায়।” এই অবস্থায় সকাল থেকেই বিজেপি কর্মীরা জড়ো হয়। দিঘা থেকে রওনা হওয়া বিজেপির মোটরবাইক মিছিলও সেখানে পৌঁছয়। এর পরেই সেখানে যান মুকুলবাবু।
ট্রাকের উপরে দাঁড়িয়ে মুকুল বলেন, “এসপি, ডিএম-এর বয়স খুব বেশি নয়। তাঁদের আরও কুড়ি বছর থাকতে হবে। তত দিন এই সরকার থাকবে না। এ ভাবে সভার অনুমতি না দেওয়া, মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার আগে এ কথা তাঁদের ভাবতে হবে। না হলে ওই দিন কিন্তু আপনাদের পক্ষে ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে।” তৃণমূল অবশ্য মুকুলবাবুর সভাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বিজেপি এখন ডুবন্ত জাহাজ। সবাই তা ছেড়ে পালাচ্ছে। ২০১৯-এ সাফ হয়ে যাবে দেশ থেকে।’’