দু’দিনের মধ্যে ডাম্পিং গ্রাউন্ড ইস্টার্ন বাইপাস থেকে সরানোর অ্যাকশন প্ল্যান না জানালে বৃহস্পতিবার থেকে কোনও জঞ্জালের গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিল সচেতনতা জাগরণ কমিটি। বুধবার সন্ধ্যা ছ’টার মধ্যে তাঁদের এই পরিকল্পনা জানাতে হবে দাবি তুলে মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে একটি চিঠি দেন তাঁরা। সোমবার চিঠি পাঠানোর পরে তাঁরা দু’দিন অপেক্ষা করবেন বলে জানান সংগঠনের সক্রিয় সদস্য সুজিত বিশ্বাস।
অশোকবাবু জানান, ডাম্পিং গ্রাউন্ডের বাইরে ময়লা ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে সমস্যা রয়েছে বলে অনুভব করেন। তিনি বলেন, ‘‘দু’দিন ধরে পুরসভার লোক দিয়েই যতটা সম্ভব ময়লা বাইরে থেকে ভিতরে তুলে দেওয়া হয়েছে। আপাতত রাস্তায় ময়লা নেই বললেও চলে। যা রয়েছে তাও দু’দিনের মধ্যেই সরিয়ে ফেলা হবে।’’ তবে প্রায় ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে সেখানে থাকা ডাম্পিং গ্রাউন্ডকে রাতারাতি সরিয়ে ফেলা সম্ভব নয়। এত বিশাল এলাকা খুঁজে বের করে সেখানকার আশপাশের বাসিন্দাদের রাজি করানো একটা বিশাল কর্মযজ্ঞ বলে মনে করেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘‘৬০ বছর আগে যখন ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি হয়েছিল, তখন সেখানে প্রায় বসতি ছিল না বললেই চলে। গত ১০ বছরে সেখানে জনবসতি বেড়ে উঠেছে। এখন কেউ যদি ডাম্পিং গ্রাউন্ড সরানোর ব্যপারে নাছোড় হয় তাহলে পুরসভার কিছু করার নেই।’’
যদিও এ ব্যাপারে এখনই মুখ খুলতে চান না উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দফতর থেকে শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেট এলাকায় একটি জঞ্জাল পুনর্ব্যবহার করার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তাতে জঞ্জালের পরিমাণ অনেকটাই কমবে। তবে মেয়রকে কী চিঠি দিয়েছেন বাসিন্দারা বা মেয়র কী বলেছেন তা না দেখে আমি কোনও মন্তব্য করব না।’’ যদিও মেয়র যাই বলুন না কেন, তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান কমিটির সদস্যরা। তাঁদের দাবি, ‘মানুষ ফাঁকা জমিতে বাড়ি করবেই। তাতে কেউ বাধা দিতে পারে না। মানুষের অসুবিধা করে কোনও প্রকল্প চলতে পারে না। সুজিতবাবুর অভিযোগ, ‘‘উনি গ্রাউন্ড সরানোর ব্যপারে কথা দিয়েছিলেন। ওঁকে তা রাখতে হবে। অন্যথায় আন্দোলনে নামব। তার প্রথম ধাপ হিসেবে জঞ্জাল ফেলার গাড়ি এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না।’’