এ বার জেলা পরিষদের প্রার্থী তালিকায় একাধিক নতুন মুখ আনতে চলেছে কোচবিহার জেলা তৃণমূল। দলীয় সূত্রের খবর, ওই তালিকায় যেমন নাম রয়েছে তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদের। তেমনই নাম রয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের পুত্র পঙ্কজ ঘোষের নামও। পাশাপাশি দিনহাটা ১ ও ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি নুর আলম হোসেন ও মীর হুমায়ন কবীরের নামও রয়েছে।
অবশ্য এখনও তালিকা প্রকাশ্যে না আসায় বিষয়টি নিয়ে কেউই প্রকাশ্যে কিছু বলতে চান না। আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, “দল যা দায়িত্ব দেবে তাই করব।” কিন্তু কেন নতুন মুখ? দলের নেতাদের একাংশ জানান, পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরেই প্রার্থীপদ পাওয়া নিয়ে দলের বিভিন্ন স্তরে ক্ষোভ রয়েছে। তা সামাল দিতেই নতুনদের আনার পরিকল্পনা হয়েছে। এই অবস্থায় বেশ কিছু পুরনো মুখ বাদ যাবেন বলেও ভাবছেন তাঁরা।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আব্দুল জলিল আহমেদকে নাটাবাড়ি বিধানসভা এলাকার একটি কেন্দ্র থেকে দাঁড় করানোর ভাবনা রয়েছে। ফলে ওই আসনের প্রার্থীকে দাঁড় করানো হতে পারে পঞ্চায়েত সমিতিতে। একইভাবে ওই বিধানসভারই আরেকটি জেলা পরিষদের আসন থেকে দাঁড়ানোর কথা মন্ত্রী-পুত্র পঙ্কজের।
দিনহাটা-২ নম্বর ব্লকের আসনটিতে এখন রয়েছেন মীর হুমায়ন কবীরের স্ত্রী মমতাজ বেগম। সেখানে মীর হুমায়ুন দাঁড়ালে মমতাজকে পঞ্চায়েত আসনে দাঁড় করানোর কথা ভাবছে তৃণমূল। একই ভাবে দিনহাটা-১ নম্বর ব্লকেও বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য শামিমা সাম্মির জায়গায় প্রার্থী হওয়ার কথা তাঁর স্বামী নুর আলম হোসেনের। সংরক্ষণের আওতায় পড়ে যাওয়ায় মাথাভাঙার দিকে প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে বর্তমান সদস্য নজরুল হক, হাসিনা রব্বানির নাম। সেখানেও নতুন মুখ আনবে দল।
নতুন মুখের পাশাপাশি অবশ্য তৃণমূল ভরসা রাখছে পুরনোতেও। যেমন ফের প্রার্থী হচ্ছেন জেলা পরিষদের বর্তমান সভাধিপতি পুষ্পিতা রায়ডাকুয়া, নাম রয়েছে স্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ্য শুচিস্মিতা দেবশর্মারও। যদিও এতেও পিছু ছাড়ছে না অভিযোগ। মাথাভাঙার এক নেতার কথায়, “গোষ্ঠী রাজনীতির জেরে অনেককেই বাদ দেওয়া হচ্ছে।’’