হেরিটেজ হতে বাধা নেই কোচবিহারের

মাস দেড়েক আগে কোচবিহার সফরের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহার হেরিটেজ টাউন ঘোষণা করার কথা জানিয়ে যান। সেসব খতিয়ে দেখতেই এ দিন দলটি আসে। ওই দলেরই সদস্য সংঘমিত্রা বসু জানান, যে কোনও শহর হেরিটেজ ঘোষণার আগে তার স্থাপত্য, ইতিহাস, সামাজিক, পুরাতত্ব নিদর্শন খতিয়ে দেখা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৭ ১৩:১৯
Share:

বৈঠক: শহর নিয়ে। নিজস্ব চিত্র

হেরিটেজ শহর হওয়ার সমস্ত উপাদান রয়েছে কোচবিহারে, জানিয়ে দিল খড়্গপুর আইআইটির স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের চার সদস্যের দল। তবে সাগরদিঘি ঘিরে একাধিক বহুতল নির্মীয়মাণ ভবন নিয়ে আপত্তিও জানিয়েছেন দলের সদস্যেরা।

Advertisement

শনিবার ওই দল কোচবিহার শহরের থাকা রাজ আমলের একাধিক বাড়িতে যায়। সাগরদিঘির চারিদিকে ঘুরে বেড়ান দলের সদস্যেরা। শহরের নানা অলিগলিও ঘুরে দেখেন। যান কোচবিহার রাজবাড়িতেও। ওই দলের প্রধান খড়্গপুর আইআইটির স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের প্রধান সুব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “একটা বাংলার শহর, তার মধ্যে হেরিটেজের এত সমৃদ্ধ উপাদান রয়েছে, যা দেখে অভিভূত আমরা। এই শহরকে কীভাবে উচ্চ পর্য়ায়ের হেরিটেজ টাউন ঘোষণা করা যায় সে ব্যাপারে আমরা চিন্তাভাবনা শুরু করেছি।”

মাস দেড়েক আগে কোচবিহার সফরের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহার হেরিটেজ টাউন ঘোষণা করার কথা জানিয়ে যান। সেসব খতিয়ে দেখতেই এ দিন দলটি আসে। ওই দলেরই সদস্য সংঘমিত্রা বসু জানান, যে কোনও শহর হেরিটেজ ঘোষণার আগে তার স্থাপত্য, ইতিহাস, সামাজিক, পুরাতত্ব নিদর্শন খতিয়ে দেখা হয়। তিনি বলেন “যদি একটা শহরকে হেরিটেজ ঘোষণা করতে হয় তার টাউনস্কেপ ভ্যালু থাকে। একটি বাড়ি ঘিরে ওই ভ্যালু হয় না। অনেকগুলি বাড়ি নিয়ে একটি চরিত্র হয়। যেটা সাগরদিঘির চারপাশে রয়েছে।” তাঁরা জানান, কী কী উৎসব এই শহরে হয় সেটাও দেখা হয়। রাস উৎসব বা ভাওয়াইয়া উৎসব কোচবিহারে রয়েছে। দেখা হয় তার পরিকাঠামো। রাস্তাঘাট, লোকেদের সুযোগ-সুবিধে কিরকম, নাগরিকদের জন্য কী করা হয়েছে। তিনি বলেন, “রানিবাগান-সহ একাধিক পার্ক আমরা ঘুরেছি। রাস্তা দেখেছি। কোচবিহারে সেই সম্ভাবনা রয়েছে।”

Advertisement

দলের সদস্যেরা জানান, শহরকে অন্যমাত্রা দিয়েছে সাগরদিঘি। শুধু সৌন্দর্য নয়, পরিবেশের দিক থেকেও তার ভূমিকা রয়েছে। জেনকিন্স স্কুলের ভবন অসাধারণ। ভূমি রাজস্ব দফতরের ভবন নতুন ভাবে তৈরি করা হলেও তার চরিত্র ধরে রাখার চেষ্টা হয়েছে। ওই রাস্তাতেই একটি পুরনো ভবনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নীল-সবুজ সাইনবোর্ড নিয়ে আপত্তি তুলেছেন তাঁরা। এ দিন বিকেলে একটি বৈঠক করেন তাঁরা। সেখানে প্রশাসন, পুরসভার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় ছিলেন। এ ছাড়াও হেরিটেজ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তদেরও ওই বৈঠকে ডাকা হয়। কোচবিহার হেরিটেজ সোসাইটির সম্পাদক অরূপজ্যোতি মজুমদার বলেন, “গোটা শহরেই নানা স্থাপত্যের ছড়াছড়ি। সে জন্য আমরা বহুদিন ধরেই ওই দাবি করে আসছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন